উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: তিন দিন হল চাঁদে সূর্য উঠেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের ঘুম ভাঙানো যায়নি। এই দুই যন্ত্র থেকে কোনও সাড়া পায়নি ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। তবে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, চাঁদে যতক্ষণ সূর্যের আলো থাকবে, ততক্ষণ বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের জেগে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ইসরো এক চন্দ্রদিবস, অর্থাৎ পৃথিবীর হিসাবে আগামী ১৪ দিন অপেক্ষা করবে। এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু সাড়া যে পাওয়া যাবেই না, তেমন কথা বলতে পারছি না। আমরা চাঁদের হিসাবে গোটা একটা দিন অপেক্ষা করতে পারি। কারণ, এই সময়ের মধ্যে অনবরত সূর্যের আলো পড়বে চাঁদের মাটিতে। ফলে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। ১৪তম দিনেও সাড়া মিলতে পারে বিক্রম, প্রজ্ঞান থেকে।‘
গত ২ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞানকে ঘুম পাড়িয়েছিল ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ৪ সেপ্টেম্বর নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছিল বিক্রমকে। প্রজ্ঞান এবং বিক্রম চাঁদের আকাশে ওঠা সূর্যের আলো থেকে শক্তি নিয়েই কাজ করে যাচ্ছিল। কিন্তু পৃথিবীর হিসাবে ১৪ দিন টানা দিনের আলো থাকার পরে আবার টানা ১৪ দিন রাত হয় চাঁদে। তাই চাঁদের আকাশে সূর্য থাকতে থাকতেই বিক্রম আর প্রজ্ঞান যাতে নিজেদের কাজ শেষ করতে পারে, এমনই পরিকল্পনা করেছিল ইসরো। কারণ বিজ্ঞানীদের মনে করেছিলেন চাঁদে রাত নামলে প্রচণ্ড ঠান্ডায় বিকল হয়ে যেতে পারে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের যন্ত্রাংশ।
বিক্রম এবং প্রজ্ঞানকে চালু করা গেলে ইসরো আবার বিভিন্ন ধরনের অনুসন্ধান শুরু করতে পারবে। তবে ইসরো যে যে কাজের জন্য চন্দ্রযান-৩ কে চাঁদের মাটিতে পাঠিয়েছিল সে সব কাজ সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়েছে। ভারতই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটিতে মহাকাশযান পাঠাতে পেরেছে। ল্যান্ডার এবং রোভারের মাধ্যমে ইসরোর হাতে যে সব তথ্য এসে পৌঁছেছে, তা আগামী দিনে মহাকাশ এবং চন্দ্র অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।