মালবাজার: গত ১৮ জানুয়ারি ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের দৃষ্টিহীন ছাত্রী রেনেসাঁ দাসের। এই ঘটনায় কলেজেরই স্নাতকোত্তরের এক ছাত্র এবং এক গবেষক ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল ওঠে। গবেষক ছাত্র আবার দিল্লির (Delhi) একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। দুজনেই বিশেষভাবে সক্ষম। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরই বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের সংগঠন ফোরাম ফর স্টুডেন্ট উইথ ডিসেবিলিটিজের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে ডেপুটেশন (Deputation) দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিশ্বিবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও এই আত্মহত্যার ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠনের চিন্তাভাবনা করছে।
মাল (Malbazar) শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ কলোনিতে দাদুর বাড়ি থেকে রেনেসাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। রেনেসাঁর বাবা-মার অভিযোগ, মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারের কারণেই তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। রেনেসাঁর পরিবার এখন পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কি ব্যবস্থা নেয় সেদিকেই তাকিয়ে আছেন। মাল থানার পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তকারীরা রেনেসাঁর মোবাইল ফোন থেকে কল রেকর্ডিং খতিয়ে দেখছেন বলে জানা গিয়েছে।