বালুরঘাট: এ যেন স্বপ্ন সত্যি হওয়া। বহুদিন থেকেই চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী শ্রেয়ার ইচ্ছে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর ছবি এঁকে তাঁকে উপহার দেবে। কিন্তু কোনওভাবেই তা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে বালুরঘাটের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) আসায় তার সেই স্বপ্নপূরণ হল। বুধবার সকালে নিজের আঁকা ছবি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়ে আহ্লাদে আটখানা অবস্থা খুদে শিল্পী শ্রেয়ার।
প্রশাসনিক সভা করে বালুরঘাট ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার পালা। পূর্ব নির্ধারিত নির্ঘণ্ট মেনে বালুরঘাট(Balurghat) পুলিশ লাইনের মাঠে বুধবার সকালে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তৈরি হয়েছে অস্থায়ী হেলিপ্যাড। হেলিকপ্টারে ওঠার আগে সমস্ত প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ঠিক তখনই নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থেকে এক খুদে নিজের আঁকা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়ার আবেদন জানায়। মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেত পেতেই ছুটে যায় খুদে শ্রেয়া রায়। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ছবি তুলে দিয়ে প্রণাম সেরে নিতে ভোলেনি সে। শ্রেয়াকে আশীর্বাদ করে তার কপালে স্নেহের চুমু এঁকে দেন মুখ্যমন্ত্রী। শ্রেয়ার আঁকা ছবির প্রশংসা করে তার সঙ্গে দেখা করে ভালো লাগলো বলে জানান তিনি। বেশকিছু উপহারও দেন স্নেহাকে। তারপরেই হেলিকপ্টারে উঠে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী(Chief Minister)। তখন মাঠজুড়ে সাধারণ মানুষ উল্লাসে ফেটে পড়েন।
১১ বছর বয়সি শ্রেয়া বালুরঘাটের সেন্ট পিটার্স স্কুলের ছাত্রী। তার কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী আসার কথা জানতে পেরেই গত তিনদিন ধরে তাঁর ছবি আঁকছিলাম। আর্ট পেপারে চারকোল ও পেন্সিল দিয়ে তাঁর মুখাবয়ব তুলতে পেরেছি। তিনি আমার ছবি নিয়ে খুব ভালো হয়েছে জানান। এদিন তাঁর হাতে সেটি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছবিও নিয়েছি। যা আমার সঙ্গে সারাজীবন থেকে যাবে।’ শ্রেয়ার মা দীপিকা রায় জানান, শ্রেয়া বরাবরই ছবি আঁকা নিয়ে থাকতে ভালোবাসে। গত কয়েকদিন ধরে এই ছবি নিয়েই সে দিনরাত পড়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী তাকে আশীর্বাদ করে গিয়েছেন। এটা তার কাছে এক বড় পাওনা। আঁকা নিয়েই সে আগামীতে থাকতে চায়। যথাসাধ্য তার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব। ছবি দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী শ্রেয়াকে চকোলেট, টেডি বিয়ার ও একটি স্কুল ব্যাগ উপহার দেন।