জলপাইগুড়ি: পুত্র সন্তানের জন্য বিয়ে করা দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে বিষ খাইয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল স্বামীর বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সদর ব্লকের মণ্ডলঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বামনপাড়া এলাকায়। মৃতের নাম আয়েশা খাতুন(২৪)। এই ঘটনার পেছনে প্রথম পক্ষের স্ত্রী আঞ্জুমা বেগমের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ আয়েশার পরিবার এবং প্রতিবেশীদের। আজ অভিযুক্ত শাহিদুলকে গ্রেপ্তার (Arrest) করার দাবিতে বামনপাড়া এলাকায় পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি শাহিদুলকে গ্রেপ্তার করতে হবে। টানা ২ ঘন্টা অবরোধ চলায় রাজ্য সড়কে প্রচুর যানবাহন দাঁড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
শাহিদুল প্রায় ১২ বছর আগে বিয়ে করেন তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী অঞ্জুমা বেগমকে। বিয়ের পর আঞ্জুমা তিন কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু পুত্র সন্তানের জন্য শাহিদুল গড়াল বাড়ির বাসিন্দা আমীর হোসেনের মেয়ে আয়েশাকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় শাহিদুল আয়েশার পরিবারকে জানিয়েছিলেন আঞ্জুমা আর মা হতে পারবে না। বিয়ের এক বছর পর আয়েশা এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। বামনপাড়ার ওই বাড়িতে দুই স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শাহিদুল। আয়েশার পুত্র সন্তানের জন্মের বছর খানেকের মাথায় প্রথম পক্ষের স্ত্রী আঞ্জুমাও এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এরপর থেকেই শুরু হয় পরিবারে অশান্তি। অভিযোগ আঞ্জুমা এবং সাহিদুল বাড়ি ছাড়া করার জন্য নিয়মিত আয়েশার ওপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার করতেন। সারাদিন ওই বাড়িতে ঝগড়া শুনেছেন প্রতিবেশীরাও। এদিন সকালে শাহিদুল প্রতিবেশিদের জানায় আয়েশা বিষ খেয়েছে। প্রতিবেশীরা এসে আয়েশাকে বাড়ির ভেতর অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। প্রতিবেশীদের তরফে খবর পৌঁছায় কোতয়ালি থানায় এবং আয়েশার পরিবারে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আয়েশাকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে ঘটনার পর থেকেই প্রথম পক্ষের স্ত্রী আয়েশার ছেলেকে নিয়ে শাহিদুল পালিয়ে যান।