জলপাইগুড়ি: নির্বিঘ্নে ভোট (Lok sabha election 2024) সম্পন্ন করতে রাত জাগবেন বনকর্মীরা। নির্বাচনের একদিন আগেই বিকেলের মধ্যে সমস্ত বুথে ভোটকর্মীরা পৌঁছে গিয়েছেন। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার মাঝে বেশ কিছু ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে জঙ্গলের নাগালে। আবার কিছু ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে জঙ্গলের মাঝে। বৃহস্পতিবার বিকেলে থেকেই সেইসব ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ঘুরে দেখেন গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগ ও জলপাইগুড়ি বনবিভাগের বনকর্মীরা। প্রতিটি বুথের আশেপাশের এলাকাজুড়ে শুক্রবার দিনভর নজরদারি চলবে বলে জানানো হয়েছে বন দপ্তরের তরফে।
জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের শেষ সীমানায় রামশাই এলাকার কালামাটি বুথে ভোট দেবে বনবস্তি সহ পাশ্ববর্তী এলাকার পাঁচশতাধিক ভোটার। জঙ্গলের সুদীর্ঘ রাস্তা পেরিয়ে তাঁরা এখানে আসবেন ভোট দিতে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ ভোটকর্মীরা এই প্রত্যন্ত এলাকায় এসে পৌঁছান। এই এলাকায় প্রতিদিন হাতি সহ বন্যপ্রাণীর যাতায়াত লেগেই থাকে। তাই কোনও ধরনের ঝুঁকি নেয়নি বন দপ্তর। এদিন বিকেল থেকেই জঙ্গল ঘেঁষা বিভিন্ন এলাকাজুড়ে নজরদারি শুরু হয়েছে। জঙ্গলের যেই রাস্তা পেরিয়ে বাসিন্দারা ভোট দিতে আসবেন সেই সমস্ত এলাকাতেও বনকর্মীরা নজরদারি চালাবেন ভোটের দিন। পাশাপাশি চালসা রেঞ্জ ও খুনিয়া স্কোয়াডের তরফেও বিভিন্ন বন্যপ্রাণী প্রবণ এলাকার ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নজরদারি চলছে।
এদিন বিকেল থেকেই ডায়না, খুনিয়া, বিন্নাগুড়ি, মালবাজার, চালসা, গরুমারা নর্থ ও সাউথ, লাটাগুড়ি, মোরাঘাট, নাথুয়া রেঞ্জের মতো বুনো উপদ্রুত এলাকাগুলির সবকটি বুথেই সংশ্লিষ্ট বনকর্মীরা যান। রেঞ্জার ও বিট অফিসাররা নিজেদের মোবাইল নম্বর দিয়ে আসেন প্রিসাইডিং অফিসারদের। বিলি করা হয় জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য বাজি পটকাও। ডায়না রেঞ্জের রেঞ্জার অশেষ কুমার পাল জানান, ভোটকর্মীরা ডিসিআরসি’তে না ফেরা পর্যন্ত নজরদারি চলবে।