ময়নাগুড়ি: পাচারের আগে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়িতে (Mainaguri) বিরল প্রাণী মালয়ান টাপির (Malayan tapir) উদ্ধার হল। বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ির ইন্দিরা মোড় সংলগ্ন ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরে শিলিগুড়িগামী একটি বিলাসবহুল গাড়ির ভেতর থেকে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ (Mainaguri police)। প্রাণীটির মূল্য কয়েক কোটি টাকা বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার (Arrest) করা হয়। বনাধিকারিকদের ডেকে প্রাণীটিকে শনাক্ত করায় পুলিশ। ধৃতদের এদিন জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
ধৃতরা হল, কলকাতার (Kolkata) বাসিন্দা কমলেশ সাহা ও চেন্নাইয়ের (Chennai) সমেশ দেবানন্দ। এদিন সকালে ময়নাগুড়ি ইন্দিরা মোড় এলাকায় চার লেনের রাস্তার ওপর গাড়িটির সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে পুলিশ গাড়িটিতে তল্লাশি শুরু করতেই প্রাণীটি উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রাণীটিকে মণিপুর থেকে কলকাতার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
এদিন প্রাণীটি উদ্ধার হওয়ার পর বন দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। বন দপ্তরের রামশাই রেঞ্জের কর্মীরা এসে প্রাণীটিকে শনাক্ত করেন। এরপর পশু চিকিৎসক নিয়ে এসে প্রাণীটির শারিরীক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়। থানার মধ্যেই গাজর, গাছের পাতা খেতে দেন পুলিশকর্মীরা। আদালতের নির্দেশে প্রাণীটিকে পুলিশের তরফে বন দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বন দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, আপাতত লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে সেটিকে রাখার পর পরবর্তীতে শিলিগুড়ি বেঙ্গল সাফারিতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল চন্দ্র দাস জানান, পুলিশ গাড়িটি তল্লাশির সময় পেছনে ডিকির মধ্যে থেকে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে। প্রাণীটি পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কীভাবে তা ভারতে এল তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের অনুমান, এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক পাচারচক্রের যোগ রয়েছে। এই চক্রে আর কেউ জড়িত কিনা তার খোঁজ চলছে। উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণ শাখার মুখ্যবনপাল ভাস্কর জেভি জানান, প্রাণীটি অত্যন্ত বিরল। আমেরিকা মহাদেশে এই প্রাণী কিছুটা দেখা যায়। এই প্রাণী শিডিউল ১ সংরক্ষিত তালিকাভুক্ত।