শুভজিৎ দত্ত, নাগরাকাটা: আত্মরক্ষার কৌশল জানতে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলায় ক্যারাটে (Karate) শিখছে প্রায় ২৫ হাজার ছাত্রী। সমগ্র শিক্ষা মিশনের পক্ষ থেকে উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচিটির পোশাকি নাম রানি লক্ষ্মীবাই আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণ। উচ্চপ্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ২৭০টি স্কুলের ছাত্রীদের এর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। সমগ্র শিক্ষা মিশনের জলপাইগুড়ির এডিপিও (SDPO) রাজীব চক্রবর্তী বলেন, ‘আত্মরক্ষার কৌশল জানা থাকলে আত্মবিশ্বাসও গড়ে ওঠে। সে কারণে ক্যারাটে শিক্ষার এই কোর্স। এর ফলে ছাত্রীরা দারুণভাবে উপকৃত হবে। ওদের মধ্যে ক্যারাটে শেখার উৎসাহও প্রচুর।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রেই জানা গিয়েছে, পুরো কোর্সটি ৫ মাসের। সপ্তাহে একদিন করে স্কুলভিত্তিক ছাত্রীদের ক্যারাটের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এজন্য ব্লকগুলিতে দক্ষ প্রশিক্ষকও নিয়োগ করা হয়েছে। জেলার চা বাগান, গ্রামীণ এলাকা কিংবা শহর, সমস্ত স্কুলই এখন এই ক্যারাটে প্রশিক্ষণের আওতায়। নাগরাকাটা ব্লকের স্কুলগুলিতে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন ক্যারাটে প্রশিক্ষক কৈলাস বর্মন। ওই তরুণের কথায়, ‘প্রথমেই ছাত্রীদের শেখানো হচ্ছে পথেঘাটে কিংবা যে কোনও স্থানে বিপদে পড়লে সর্বশক্তি দিয়ে চিৎকার করে সাহায্য চাওয়ার উপায়। এছাড়াও রয়েছে ক্যারাটের স্কিলের মাধ্যমে আত্মরক্ষার কিছু সহজ কৌশল। এককথায় এই কর্মসূচিটি যে মেয়েদের ভবিষ্যতে অত্যন্ত কাজে আসবে তা হলফ করে বলতে পারি।’ কৈলাসের সংযোজন, ‘সপ্তাহে একদিন করে ৫ মাসে ২০টি ক্লাস মিলবে। যদি স্কুল পিছু একজন করে স্থায়ী প্রশিক্ষক নিয়োগ করে ধারাবাহিকভাবে এই প্রশিক্ষণ চলে তবে তা আরও কার্যকরী হয়ে উঠবে।’ কলাবাড়ি টিই হাইস্কুলের দশম শ্রেণির স্নেহা শৈব নামে এক ছাত্রীর কথায়, ‘একটা ক্লাস করেই কেউ বিপদে ফেলতে চাইলে তাকে চটজলদি কাবু করার সহজ উপায় জেনে খুব ভালো লাগছে।’