কলকাতা: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনায় এবার মুখ খুললেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। শুক্রবার এবিষয়ে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। সব শুনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘পুলিশ কী করছিল, পুলিশ কি ঘটনাস্থলে যায়নি?’ এরপরই তিনি বলেন, ‘রাজ্যপাল (Governor) কেন ঘোষণা করছেন না, রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে?’ বিচারপতির সংযোজন, ‘তদন্তকারী সংস্থা আক্রান্ত হলে কীভাবে তদন্ত হবে?’
এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেলের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, ‘শুনলাম, আপনাদের লোকেদের মেরেছে। আপনারা কী করছিলেন? ওদের সঙ্গে গুলি-বন্দুক থাকে না? চালাতে পারে না?’ ইডির অফিসারদের মারধর করা নিয়ে বিচারপতির বক্তব্য, ‘দু’জন অফিসারকে মেরেছে, ২০০ জনকে পাঠান।’
প্রসঙ্গত, র্যাশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় (Ration scam case) তদন্তের সূত্রে শুক্রবার সন্দেশখালিতে তৃণমূল (TMC) নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে হানা দিতে গিয়ে স্থানীয়দের একাংশের রোষের মুখে পড়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি) (ED)। জখম হন ইডি আধিকারিক। জনতার চাপে পিছু হটতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। এদিন তৃণমূল নেতা শাজাহান শেখের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। তবে সেই বাড়ি তালাবন্ধ ছিল। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরও সাড়া না মেলায় তালা ভাঙার চেষ্টা করেন ইডি’র আধিকারিকরা। সেইসময় শাজাহান শেখের অনুগামীরা ঘটনাস্থলে যান। ইডি আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জনওয়ানদেরও (Central force) ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয়দের একাংশের বিরুদ্ধে। এরপরই ঘটনাস্থল থেকে কার্যত তাড়িয়ে বের করা হয় ইডি আধিকারিকদের। হামলার জেরে মাথা ফাটে এক ইডি আধিকারিকের।