উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ঘুম কম হলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আবার ঘুম বেশি (Oversleeping) হলেও তা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের ক্ষেত্রে বয়স এবং শারীরিক সক্রিয়তা অনুযায়ী ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। কিন্তু এর বেশি ঘুম বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যার জন্য দায়ী। এবার বেশি ঘুমানোর কয়েকটি ক্ষতিকর দিক জেনে নিন-
১) রক্তে শর্করার বেড়ে যাওয়া নির্ভর করে জীবনযাপনের উপর। সারা দিনের খাওয়াদাওয়া, কাজ, শরীরচর্চা এই সব কিছুর প্রভাব পড়ে বিপাকহারের উপর। দিনের বেশির ভাগ সময়ে যদি ঘুমিয়েই কাটে, সে ক্ষেত্রে কোনও রুটিনই সঠিক ভাবে মেনে চলা যায় না। তা ছাড়া শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শরীরচর্চা করা জরুরি। বেশি ঘুমোলে সেই অভ্যাসে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
২) বেশি ঘুমোলে দিনের অনেকটা সময় বিছানায় কেটে যায়। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে যেটুকু শরীরচর্চা প্রয়োজন, রোজ সেইটুকু করতে না পারলে হার্টের সমস্যা হবেই। শুধু তাই নয় প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমোলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে আরও অনেক রোগ। ঝুঁকি এড়াতে তাই প্রয়োজনের বেশি ঘুমনো ঠিক নয়।
৩) বেশি ঘুমোলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ওজন ধরে রাখতে অতিরিক্ত ঘুম বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তা ছাড়া ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত সব রোগও বাড়তে থাকে ঘুমের সঙ্গেই।
৪) সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে শরীরে বা মনে তরতাজা ভাব থাকে। অতিরিক্ত ঘুমিয়ে বেলায় উঠলে আলস্য লাগে, শরীরে চনমনে ভাব থাকে না। কোনও কাজেই তেমন উৎসাহ পাওয়া যায় না। ঘুমোতে ইচ্ছা করলেও সকালের দিকে তাড়াতাড়ি ওঠার চেষ্টা করুন। দেখবেন সারা দিন বেশ ভাল কাটবে।