উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মন্ত্রীসভা থেকে অপসারিত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। শুক্রবার রাজভবন সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। রেশন দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার প্রায় সাড়ে তিনমাস পর এই পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। সূত্রের খবর, এখন থেকে বালুর হাতে থাকা বন দপ্তর ও শিল্পদ্যোগ দপ্তর যৌথ ভাবে সামলাাবেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা ও পার্থ ভৌমিক।
র্যাশন দুর্নীতি (Ration scam) মামলায় গত ২৬ অক্টোবর রাজ্যের একসময়ের খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেপ্তার করে করে ইডি। তারপর একাধিকবার জ্যোতিপ্রিয়র পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই জ্যোতিপ্রিয়কে অপসারণের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। এর আগে শিক্ষা দুর্নীতিতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
ইতিমধ্যে র্যাশন দুর্নীতি মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি (Enforcement Directorate)। সূত্রের খবর, আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে র্যাশন দুর্নীতির অন্যতম মাথা হিসেবে জ্যোতিপ্রিয়র নাম উল্লেখ করেছেন তদন্তকারীরা। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে নেমেই র্যাশন দুর্নীতির হদিস করতে পারেন তদন্তকারীরা। তারপরই তদন্ত চালিয়ে চাল-আটা কলের মালিক বাকিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিবুরকে জেরা করেই নাম চলে আসে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। প্রথমে বাকিবুরকে চেনেন না বলে দাবি করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। কিন্তু পরে তদন্তে বাকিবুর-জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠতার বহু প্রমাণ পাওয়া যায়।
কিন্তু তারপরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জ্যোতিপ্রিয়কে মন্ত্রীসভা থেকে না সরানোয় প্রশ্ন উঠছিল। তবে শেষ পর্যন্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে সরানোর সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছেন মমতা। সংবিধানের ১৬৬ (৩ ) অনুচ্ছেদ মেনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও (C V Andanda Bose) জ্যোতিপ্রিয়কে রাজ্যের বন দপ্তরের এবং শিল্পোদ্যোগ ও শিল্প পুনর্গঠনের দফতরের দায়িত্ব থেকে ‘অব্যাহতি’ দিয়েছেন। আপাতত বন দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কাজ করবেন বিরবাহা হাঁসদা। পার্থ ভৌমিকের হাতে সেচ ও জলপরিবহণ দপ্তরের পাশাপাশি জ্যোতিপ্রিয়ের হাতে থাকা শিল্পোদ্যোগ এবং শিল্প পুনর্গঠন দপ্তরের দায়িত্বও চলে এল।।