কলকাতা: মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জন্য বিশেষ খাবার সরবরাহ করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো রয়েছে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। সোমবার সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের তরফে মুখবন্ধ খামে এই রিপোর্ট আদালতকে দেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জানিয়েছে, বাড়ির খাবার নয়, মন্ত্রীকে জেলের খাবারই খেতে হবে।
জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী জানিয়েছেন, অসুস্থতার জন্য তাঁর মক্কেলকে যে বিশেষ ডায়েট মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সেরকম খাবার সরবরাহের পরিকাঠামো রয়েছে বলে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে। ১৪ দিন ইডির হেপাজতে থাকার পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুকে সোমবার আদালতে হাজির করানোর কথা ছিল। কিন্তু একদিন আগে রবিবার ইডি তাঁকে আদালতে হাজির করে। তাঁকে ৪ দিনের জেল হেপাজতে পাঠানোর আর্জি জানায়। একইসঙ্গে জেলেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চায় ইডি। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রীর তরফে জামিন চাওয়া হয়নি। তাঁর আইনজীবী শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার আর্জি জানান। আদালত ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁকে জেল হেপাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। আগে আদালতের তরফে জানানো হয়েছিল, জেলে মন্ত্রী বাড়ির খাবারই খেতে পারবেন। কিন্তু সোমবার সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট পাওয়ার পর এদিন মন্ত্রীকে জেলের খাবারই দেওয়ারই নির্দেশ দিয়েছে ব্যাংকশাল আদালত।
র্যাশন দুর্নীতির অভিযোগে ২৬ অক্টোবর মধ্যরাতে সল্টলেকের বাড়ি থেকে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে ইডি। পরের দিন আদালতে তোলা হলে এজলাসেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে বাইপাসের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেশ কয়েকদিন সেখানে চিকিৎসার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, মন্ত্রী সুস্থ। তাঁকে ইডি হেপাজতে পাঠানো হয়। ১৪ দিন সেখানেই থাকার কথা ছিল মন্ত্রীর। তবে ১৩ দিনের মাথায় তাঁকে জেল হেপাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
সংশোধনাগার সূত্রে খবর, বালুর সেলে কোনও বিছানা দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র কম্বল পেতে শুতে হয়েছে তাঁকে। সেলের ঘরের মেঝেতে শুয়ে ঘুম আসেনি বালুর। এদিকে, আইনজীবীর আর্জি মেনে সরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার জন্য ভর্তির আর্জিও মানেনি আদালত। ১৬ নভেম্বর জেল হেপাজত শেষে তাঁকে ফের ব্যাংকশাল আদালতে তোলা হবে। ওইদিন আদালত নতুন কোনও নির্দেশ দেয় কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে আছে মন্ত্রীর পরিবার।