কালিয়াগঞ্জঃ তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের আমলার কর্যকলাপে অসন্তুষ্ট তৃণমূল কংগ্রেস। ব্লক মহিলা উন্নয়ন আধিকারিকের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ এনেছে শাসকদল। দুর্নীতি সামনে আসা সত্ত্বেও বিডিও বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইছেন বলেও অভিযোগ তাঁদের। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে কালিয়াগঞ্জ বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন কালিয়াগঞ্জ ব্লক মহিলা তৃণমূল। এদিন প্রায় চারশো মহিলার উপস্থিতিতে নয় দফা দাবি নিয়ে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ব্লক মহিলা উন্নয়ন আধিকারিক স্বপ্না দাসের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন তৃণমূলের প্রমিলা বাহিনী। সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে কালিয়াগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত রায়কে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ নিয়ে কালিয়াগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত রায়ের বক্তব্য জানা যায়নি। এদিনের বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ব্লক তৃণমূল মহিলা কমিটির সভানেত্রী পঞ্চমী দাস, কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি দীপা সরকার, তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ লতা সরকার দেবশর্মা সহ জেলা তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্ব।
স্বপ্না দাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে গড়িমসি করছেন কালিয়াগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত রায়। এমনই অভিযোগ করেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নিতাই বৈশ্য। তাঁর অভিযোগ, “স্বপ্না দাসের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ সামনে আসলেও বিডিও নিশ্চুপ থেকে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামীণ মহিলাদের স্বনির্ভর করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে এধরণের ঘটনা সামনে আসতেই আজ বাধ্য হয়ে মহিলারা গর্জে উঠেছে৷ এই স্বপ্না দাসের জন্য কালিয়াগঞ্জ ব্লকের সুনাম নষ্ট হয়েছে। এই মুহূর্তে স্বপ্না দাসকে এই ব্লক থেকে অন্যত্র সরিয়ে দিতে হবে৷ পরবর্তী কালে ঘটনার তদন্ত করে ওই মহিলাকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।”
উল্লেখ্য, ১৪ জুন ডিআরডিসি প্রোজেক্ট ডিরেক্টর সহ কালিয়াগঞ্জের ব্লক প্রশাসন ও কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিরন্ময় সরকারের কাছে ডব্লিউডিও স্বপ্না দাসের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের লিখিত অভিযোগ করেন কালিয়াগঞ্জের আটটি অঞ্চলের সংঘের সম্পাদিকারা। তাদের অভিযোগ, ট্রেনিং বাবদ ১ লক্ষ ছাপান্ন হাজার এবং স্কুল পোষাক বাবদ ৬৬ হাজার টাকা জেলা ও স্থানীয় অফিস স্টাফদের দেওয়ার নাম করে তুলেছেন। কিন্তু, পরবর্তীতে সম্পাদিকারা জানতে পারেন, এধরণের কোনও টাকাই জেলা অথবা স্থানীয় স্টাফদের দেননি স্বপ্না দাস। উনি নিজেই সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেছেন।