উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেপ্তার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। ইডিকে রিপোর্ট দিয়ে একথা জানাল এসএসকেওএম কর্তৃপক্ষ। যদিও রাজ্যের হাসপাতালের দেওয়া এই রিপোর্ট মানতে নারাজ ইডি। আদালতের নির্দেশ মেনে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চায় ইডি। এসএসকেএমের মেডিক্যাল বোর্ডের দেওয়া ‘কালীঘাটের কাকু’র রিপোর্টের নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে। আদালতে এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইডি।
জানা গিয়েছে, এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ ইডিকে রিপোর্ট দিয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু মানসিকভাবে অসুস্থ। সেই কারণেই তিনি গলার স্বরের নমুনা দিতে পারছেন না। মেডিকেল বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ‘সুজয়ের উপর মানসিক চাপ রয়েছে। গলার স্বরের নমুনা দিতে গেলে সেই চাপ আরও বৃদ্ধি পাবে। তাতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। তাই নমুনা সংগ্রহে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া যাচ্ছে না। মানসিক চাপের সমস্যা মেটাতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা হবে। হাসপাতালের এই যুক্তি মানতে রাজি নয় ইডি।
এই মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ইডি কর্তারা। তারা জানিয়েছে, অকারণে এই সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়াটিতে দেরি করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নমুনা সংগ্রহ না করার জন্য যে যুক্তিগুলি দিচ্ছেন, তা ভিত্তিহীন। তাদের অভিযোগ, স্বরের নমুনা প্রক্রিয়ায় বাধা দিয়ে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ আসলে ইডির কাজে এবং বিচারপ্রক্রিয়াতেই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ইডির হাতে এসেছে একটি বিশেষ অডিয়ো রেকর্ডিং পেয়েছে। যাতে সুজয়কৃষ্ণকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘ফোন থেকে সমস্ত তথ্য মুছে ফেলো।’ সেই বক্তব্য কাকুরই কি না তা জানতে গত ৬ মাস ধরে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করে যাচ্ছে ইডি। ওদিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সুজয়কৃষ্ণকে এসএসকেওএম হাসপাতালে ভর্তি করে রেখেছে জেল কর্তৃপক্ষ। এর পর গত শনিবার ইডির তরফে আদালতে আবেদন করা হয়, জোকা ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়ে কালীঘাটের কাকুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে তাঁর কণ্ঠস্বরের নুমনা সংগ্রহ করতে চায় ইডি। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।