খড়িবাড়ি: জনসমক্ষে তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীকে সপাটে চড় মারলেন পুলিশ আধিকারিক! সোমবার সকাল থেকে এরই প্রতিবাদে দীর্ঘক্ষণ খড়িবাড়ি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
রবিবার একদিবসীয় দিবারাত্রি নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে বুড়াগঞ্জ ইউথ অ্যান্ড তরাই স্পোর্টস অ্যাকাডেমি। খড়িবাড়ির বুড়াগঞ্জ কালকূট সিং হাইস্কুলের মাঠে অনেক রাত পর্যন্ত চলছিল টুর্নামেন্ট। রাত পৌনে ১২টা নাগাদ ফাইনাল ম্যাচ চলছিল। খেলা শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনার জন্য মোতায়েন ছিল র্যাফ সহ বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশের একটি ভ্যান নকশালবাড়ি-বুড়াগঞ্জ রাজ্য সড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা ছিল। তখন বুড়াগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতিডোবা সংসদের সদস্য মৌসুমী বাড়ইয়ের স্বামী তথা তৃণমূলকর্মী পরেশ বাড়ই হঠাৎই মঞ্চের পাশে এসে উপস্থিত পুলিশকর্মীদের গাড়িটি রাস্তার পাশ থেকে সরিয়ে রাখতে বলেন। পরেশের দাবি, ‘গাড়িটি রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করছিল।’ কিন্তু পুলিশের দাবি, ‘গাড়িটি খেলার মাঠ থেকে অনেকটা দূরে ছিল। তৃণমূলকর্মী পরেশ জনসমক্ষে পুলিশকে অকথ্য ভাষায় কথা বলে বলে অভিযোগ। এনিয়ে প্রথমে উভয়পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এরপর এক পুলিশ আধিকারিক তৃণমূলকর্মীর অভব্য আচরণের জন্য তাঁকে সপাটে চড় মেরে পুলিশভ্যানে তোলেন। খেলা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য এবং তৃণমূলের নেতাদের অনুরোধে একটি মুচলেকা নিয়ে খেলা শেষে ঘটনাস্থালেই পরেশকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এদিকে, গতকালের ঘটনার প্রতিবাদে এদিন তৃণমূলের খড়িবাড়ি ব্লক সভাপতি মুকুল সরকার, বুড়াগঞ্জ অঞ্চল সভাপতি প্রদীপ মিশ্রা, ব্লক মহিলা সভাপতি অনিমা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দুই শতাধিক তৃণমূলের নেতা-কর্মী খড়িবাড়ি থানা ঘেরাও করেন। ওসি সুদীপ বিশ্বাস সহ অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক সহ উপস্থিত কনস্টেবলদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। পরে ওসি এবিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ তুলে নেন তৃণমূলকর্মীরা।
তৃণমূলকর্মী পরেশ বাড়ইয়ের দাবি, জনসমক্ষে তাঁকে মারার পাশাপাশি পুলিশভ্যানেও মারধর করা করেছে। জোর করে মুচলেকায় সই করানো হয়েছে। পুলিশের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে উপযুক্ত পদক্ষেপের দাবি করেছেন তৃণমূলের খড়িবাড়ি ব্লক সভাপতি মুকুল সরকার।