উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ (Kalinga Supar Cup Final 2024) মরশুমের শুরুতে ডুরান্ড কাপের (Durand Cup Final)ফাইনালে উঠেও হারতে হয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দী মোহনবাগান (Mohunbagan) সুপার জায়ান্টের কাছে। এবার ফের ট্রফি জেতার সুযোগ এসেছে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) কাছে। ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতও শিরোপা জেতার এই সুযোগটা আর হাতছাড়া করতে চান না। রবিবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ সুপার কাপের ফাইনালে ওডিশা এফসি-র বিরুদ্ধে জিতে সেই আক্ষেপ পূরণ করতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল। ফাইনালে ৩-২ গোলে ওডিশাকে হারিয়ে কলিঙ্গ সুপার কাপ ঘরে তুলল ইস্টবেঙ্গল।
শেষ ১২ বছর সর্বভারতীয় পর্যায়ে কোনও ট্রফি জেতেনি ইস্টবেঙ্গল। কলিঙ্গ সুপার কাপে সেই লজ্জা মুছে ফেলতে মরিয়া লাল হলুদ। রবিবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ সুপার কাপের ফাইনালে ওডিশা এফসি-র বিরুদ্ধে মাঠে নামে ইস্টবেঙ্গল। প্রথম থেকেই আক্রমন প্রতিআক্রমণে জমে ওঠে কলিঙ্গ সুপার কাপের ফাইনাল। খেলার ৩৯ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়িয়ে দেয় ওডিশা এফসি। ফ্রি-কিক থেকে আহমেদ জহৌয়ের থেকে বল পেয়ে গোল করেন কৃষ্ণ। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ওডিশা এফসি।
এক গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতির পর মাঠে আক্রমনাত্বক ফুটবলে খেলতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের ব্রিগেড। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জোড়া পরিবর্তন করে ইস্টবেঙ্গল। সিভেরিও এবং মান্দারের পরিবর্তে নামানো হল মহেশ এবং লালচুংনুঙ্গাকে। পরিবর্তন আনতেই বেড়ে যায় ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের গতি। ৫২ মিনিটে সমতা ফেরাল ইস্টবেঙ্গল। দুরন্ত গোল করলেন নন্দকুমার। মহেশ উইথ দ্য বল দারুণ দৌড়ে এসে মাপা শটে বল বাড়ান নন্দকে। নন্দ বল পেয়ে একক দক্ষতায় ওডিশার ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে গোল করেন তিনি। নিঃসন্দেহে দুরন্ত গোল।
৬০ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গল পেনাল্টি পেলেও তা নাকচ করে দেন রেফারি। বক্সের ভিতরে নন্দকুমারকে ফাউল করেছিলেন ওডিশার দেলগাডো। তার পরও রেফারি ভেঙ্কটেশ পেনাল্টি না দেওয়ায় মাঠে উত্তেজনা দেখা যায়। পরের মিনিটেই ইস্টবেঙ্গলের বোরহাকে ফাউল করা হলে, পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। ৬২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ এগিয়ে দিলেন ক্রেসপো। খেলার ৬৯ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন মোর্তাদা ফল।
৭৪ মিনিটের মাথায় নন্দকুমারকে তুলে নিয়ে বিষ্ণুকে নামালেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কুয়াদ্রাত। ৮৬ মিনিটে বিষ্ণুকে তুলে নিয়ে পরিবর্তে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নামায় লালহলুদ। খেলায় ইনজুরি টাইম দেওয়া হয় অতিরিক্ত ৭ মিনিট। আর এই অতিরিক্ত সময়েই খেলায় সমতা ফেরায় ওডিশা। মরিসিওকে বক্সের ভিতরে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ওডিশা। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি জহৌ। তাঁর জোরালো শট জালে জড়িয়ে ২-২ করে ফেলল ওডিশা। ৯৭ মিনিটে বড় ধাক্কা খেল লাল-হলুদ। শৌভিক চক্রবর্তী ভালো খেলছিলেন। কিন্তু তিনি দ্বিতীয় হলুদকার্ড দেখেন। এবং তাঁকে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয়। ১০ জন হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলও। প্রসঙ্গত আগেই ১০ জন হয়ে গিয়েছিল ওড়িশা।
১১১ মিনিটে ফের ওডিশার জালে বল জড়িয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গল। অনবদ্য গোল করলেন ক্লেটন সিলভা। এদিকে গোলের পর জার্সি খুলে সেলিব্রেশন করে হলুদকার্ড দেখলেন ক্লেটন। ৩-২ গোলে ওডিশা এফসিকে হারিয়ে কলিঙ্গ সুপার কাপ জয় করল লালহলুদ ব্রিগেড।