কালিয়াগঞ্জ: সামনেই লোকসভা নির্বাচন (Loksabha election)। তার আগে গতকাল তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় (Soumen Roy)। এদিকে তিনি বিজেপিতে যেতেই শুদ্ধিকরণ করল তৃণমূল।
ভোটের আগে গ্রাম ও শহরের তৃণমূল নেতৃত্ব ও কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে এবং আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেড সমাবেশ সার্থক করতে একটি দলীয় কর্মীসভার আয়োজন করে কালিয়াগঞ্জ তৃণমূল। এদিন শহরের হনুমান ভবনে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল, জেলা সভাধিপতি পম্পা পাল, করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পাল, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, ইটাহারের বিধায়ক মোসারফ হোসেন, জেলা মহিলা তৃণমূলের সভাপতি চৈতালি ঘোষ সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
এদিন, রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আগে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘মূলত দুটি বিষয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জনকে ঘিরে এবং সৌমেন রায়ের বিজেপিতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে। সৌমেন রায় দলে আসার আগেও তৃণমূল কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে জিতেছিল। সৌমেন রায় কাউকে নিয়ে আমাদের দলে আসেনি। আর যাওয়ার সময়ও কাউকে নিয়ে যায়নি। কিন্তু, আমরা সাংগঠনিকভাবে সতর্ক।’ এদিন সভার মাঝে দেখা যায়, টেবিলে জলের বোতলের পাশাপাশি আমপাতা দেওয়া মাটির একটি ঘট। সেই ঘটে রাখা হয় গঙ্গাজল। সৌমেনের বিদায়ে দলীয় সভায় গঙ্গাজল নিয়ে কর্মী ও নেতৃত্বকে ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ করে তৃণমূল।
এদিকে শুদ্ধিকরণ নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার কটাক্ষের সুরে জানান, দূষিত তৃণমূল নেতারা আজ রাম রাজত্বে নিজেদের গঙ্গাজলে পবিত্র করার চেষ্টা করল। যে রাজ্যে মহিলাদের ধর্ষণ, খুন করা হয় সেখানে এই তৃণমূলরা মা গঙ্গাকে স্পর্শ করে কতখানি শুদ্ধ হবে এনিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। প্রসঙ্গত, গতকাল কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সৌমেন রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।