উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কোপে পড়লেন কমল নাথ। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে ওবিসি সম্প্রদায়ের নেতা জিতু পাটোয়ারিকে।
মধ্যপ্রদেশে সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেস। কমল নাথের বারবার দাবি সত্ত্বেও দল ক্ষমতার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেনি। ২৩০ আসনের মধ্যে মাত্র ৬৬টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। এনিয়ে দলের মধ্যে কমল নাথের নেতৃত্বে প্রশ্নের মুখে পড়ে। যেভাবে তিনি মধ্যপ্রদেশে জোটের বিরোধিতা করে বিবৃতি দিয়েছিলেন তানিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এই পরিস্থিতিতে কমল নাথের পদ নিয়ে একটা আশঙ্কার জায়গা তৈরি হচ্ছিল। সেটাই বাস্তবায়িত হল দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে।
জিতু পাটোয়ারি ওবিসি সম্প্রদায়ের নেতা। আর মধ্যপ্রদেশে ওবিসি সম্প্রদায়ের ভোট রয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। তাই ব্রাহ্মণ কমলনাথকে সরিয়ে জিতুকে নির্বাচনের মাধ্যমে কংগ্রেস ওবিসি সম্প্রদায়ের প্রতি একটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই সিদ্ধান্তের পর কমল নাথের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কমল নাথের এখন বয়স ৭৭। ৯ বারের সাংসদ ছিলেন তিনি, কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে একাধিকবার মন্ত্রীপদের দায়িত্ব সামলেছেন। ১৮ মাস মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। তবে জোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিদ্রোহের পর তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়। তবে কমল নাথের মতো সরতে হয়নি ছত্তিশগড় কংগ্রেসের সভাপতি দিপক বৈজকে। তিনি আপাতত নিজের পদ বাঁচিয়ে নিতে পেরেছেন।
মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস উমঙ্গ শ্রীধরকে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেছে। শ্রীধর আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। অন্যদিকে বিধানসভায় ডেপুটি লিডার মনোনীত করা হয়েছে হেমন্ত কাটারেকে। যিনি আবার ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের। ফলে পদ নির্বাচনে কংগ্রেস যে লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতিগত ভারসাম্যের রাজনীতিতেই আস্থা রাখছে তা পরিষ্কার।