প্রণব সূত্রধর ও বিদেশ বসু, আলিপুরদুয়ার ও মালবাজার: আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে বৃহস্পতিবার লিংক হফম্যান বুশ (এলএইচবি) কোচ নিয়ে যাত্রা শুরু করল কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস (Kanchankanya Express)। বুধবার শিয়ালদা (Sealdah) স্টেশন থেকে কাঞ্চনকন্যার যাত্রা শুরু হয়েছিল। এদিন সকালে নিউ মাল জংশনে পৌঁছায় এই বিশেষ ট্রেনটি। তারপর বিকেলে আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে ফের যাত্রা শুরু হয়। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) ডিভিশনের ডিআরএম অমরজিৎ গৌতম বলেন, ‘এলএইচবি কোচে যাত্রীদের সুরক্ষা অনেকটা বেশি সুনিশ্চিত হয়। এছাড়া, অন্য কাজেও সুবিধা রয়েছে। ধীরে ধীরে অন্যান্য ট্রেনেও এলএইচবি কোচ লাগানো হবে।’
জানা গিয়েছে, এই এলএইচবি কোচে দুর্ঘটনার সময় ট্রেনের কামরাগুলো দুমড়েমুচড়ে যায় না। ফলে যাত্রী নিরাপত্তাজনিত সুবিধা অনেক বেশি। জায়গার পরিসরও বেশি। ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ) কোচে ৭২টি আসন থাকে। আর লিংক হফম্যান বুশ কোচে থাকে ৮০টি আসন। সেইসঙ্গে ট্রেন সাফাই করার ক্ষেত্রেও সুবিধা বেশি।
কাঞ্চনকন্যা সহ পূর্ব রেলের এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির অধিকাংশই আইসিএফ জাতীয় কোচ। ফলে দুর্ঘটনার সময় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটাও অনেক বেশি হয়। সেজন্য এলএইচবি কোচের দাবি উঠেছে। বুধবার শিয়ালদা থেকে যাত্রা শুরু হলেও বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে যাত্রা করল।
ডুয়ার্স (Dooars) রুটের সঙ্গে কলকাতা যোগাযোগকারী একমাত্র ট্রেন এই কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস। অনেক ক্ষেত্রেই পুরোনো কোচগুলি নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। এরপর রেলের তরফে এই ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, এই ধরনের কোচ ভারতের চেন্নাই এবং রায়বেরিলিতে তৈরি হয়। প্রায়ই কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে যাতায়াত করেন মেটেলির সৌরদীপ সরকার। সৌরদীপ বলেন, ‘কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে আধুনিক কোচ যুক্ত করায় আমরা খুশি।’ মাল শহরের বাসিন্দা কৃষ্ণা তালুকদার আবার শিয়ালদাগামী আরেকটি ট্রেন চালুর দাবি জানান।