রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ থেকে হেঁটে মধ্যপ্রদেশের বাগেশ্বরধামে রওনা দিলেন রায়গঞ্জের ক্যারাটে শিক্ষক রাজকুমার মাহাতো(২৫)। রায়গঞ্জ ব্লকের মহিপুর অঞ্চলের কান্তরের বাসিন্দা রাজকুমার পেশায় ফেরিওয়ালা। তবে পড়াশোনার জন্য রায়গঞ্জ শহরের উকিলপাড়াতেই তার বর্তমান অস্থায়ী বাসস্থান। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ ও ক্যারাটে ব্ল্যাকবেল্ট পাওয়া রাজকুমার ছোট্ট ফেরিগাড়িতে মনিহারি সামগ্রী সাজিয়ে গ্রামে গ্রামে ফেরি করে বেড়ায়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফেরি গাড়ি নিয়ে গ্রামগঞ্জে ঘুরে বেড়ায় সে। পরিবারের সদস্যদের সুখে শান্তিতে রাখার পাশাপাশি নিজের পায়ে দাঁড়াতে কঠোর পরিশ্রম করে রাজকুমার। সপ্তাহে ৩ দিন রায়গঞ্জ শহর ও শহরতলি এলাকায় ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দিতেও দেখা যায় তাকে।
গত ২০ মার্চ রাজকুমার রায়গঞ্জ থেকে কলকাতার উদ্দ্যেশ্যে হেঁটে রওনা দিয়েছিল এবং ৬ দিনে সে কলকাতায় পৌঁছোয়। ইচ্ছে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধের জন্য গ্রামেগঞ্জে খেলাধুলার প্রসারের দাবি জানাবেন, কিন্তু তা হয়নি। এবার সে হেঁটে মধ্যপ্রদেশের বাগেশ্বর ধামে যাবেন। সেখানে গুরুজির সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরবেন। এজন্য সময় লাগবে প্রায় একমাস। এদিন বিকেলে রায়গঞ্জের দেবপুরি আশ্রম থেকে পদযাত্রা শুরু করেন তিনি। ছিলেন রাজকুমারের বাবা ও মা। তারাও ছেলের ইচ্ছেকে মান্যতা দিয়েছেন।
রাজকুমার বলেন, ‘প্রায় ১২০০ কিমি পথ পাড়ি দেব ৩০ দিনে। পথে চলতে চলতে বিভিন্ন সামাজিক বার্তা দেব সাধারণ মানুষকে। বাগেশ্বর ধামে পৌঁছে গুরুজীর কাছে বিভিন্ন সামাজিক বিষয় তুলে ধরব। ছোটো থেকেই ইচ্ছে হেঁটে এবং দৌড়ে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করার। আমার উদ্দ্যেশ্য বাগেশ্বর ধাম যাবো।’