চাঁচল: ৫০০ বছরের প্রতীক্ষার অবসান। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে ঘরে ফিরলেন রামলালা। আর আজকের এই দিনেই উপোস করে রামপুজো করলেন এক করসেবক (Karsevak)। প্রথম থেকেই যিনি রাম মন্দির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। গিয়েছিলেন করসেবা করতে। নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ৪০ সদস্যের দলকে। আন্দোলনে গিয়ে ১০ দিন জেলও খেটেছিলেন। রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) আন্দোলনে বাংলার দুই শহিদ কোঠারি ভাতৃদ্বয়ের সঙ্গেও কর সেবার সময় সাক্ষাৎ হয়েছিল তাঁর। বেঁচে নেই তাঁর অনেক সঙ্গীও। যাঁরা দেখে যেতে পারলেন না আজকের দিনটি। তাই আজ তিনি আবেগপ্রবণ। তিনি হলেন মালদার (Malda) চাঁচল (Chanchal) ১ নম্বর ব্লকের কলিগ্রামের অজিত প্রামাণিক।
৯০-এর দশক থেকে রাম মন্দির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত অজিত। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ডাকে করসেবায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেই সময় চাঁচল এলাকার কলিগ্রাম থেকে করসেবায় গিয়েছিলেন তিনজন। অজিত প্রামাণিক, সাগর রায় এবং নারায়ণ গোস্বামী। ইতিমধ্যে মা গিয়েছেন নারায়ণ গোস্বামী। ৪০ জনের করসেবকের দলের দায়িত্ব ছিল অজিতের ওপর। করসেবা করতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের ভাটনি স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ১০ দিন দেউড়িয়া সেন্ট্রাল জেলে ছিলেন।
অজিত বলেন, ‘আজকের দিনের জন্যই তো এত লড়াই। আমি যে সময় গিয়েছিলাম বয়স ছিল ২৬ বছর। বন্ড সই করে যেতে হয়েছিল। আজ সত্যিই আমার চোখে জল আসছে।’