করণদিঘি: স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক নাবালিকাকে অপহরণ। তারপর অন্যত্র নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল এক তরুণের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে করণদিঘির লধিপুর এলাকার জঙ্গল থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম বরকত আলি(১৯)। সে পেশায় নির্মাণ শ্রমিক। তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে করণদিঘি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ১৩ বছরের নাবালিকা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। শুক্রবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে বাইকে বিহারের বারসই এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর তাঁকে কিশনগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটি হোটেলে কিছুক্ষণ থাকার পর ফের করণদিঘির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। করণদিঘি থানা এলাকার লধিপুর আদিবাসীপাড়া সংলগ্ন একটি ভুট্টাখেতে শনিবার সকালে রক্তাক্ত অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে গ্রামের বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই নাবালিকার স্কুল ব্যাগ থেকে পরিচয়পত্র বের করে পরিবারের লোকদের খবর দেয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে করণদিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে পরবর্তীতে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
সংশ্লিষ্ট গ্রামের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সেফাত আলি বলেন, ‘অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা ওই যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।‘ অন্যদিকে, ওই নাবালিকার সঙ্গে অভিযুক্ত তরুণের প্রেমের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান।