গাজোলঃ সারাদিন নিখোঁজ থাকার পর গভীর রাতে মুক্তিপণ (ransom) চেয়ে ফোন এল ছেলের মোবাইল (Mobile phone) থেকে। মুক্তিপণ দাবি করল ৫ লক্ষ টাকা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল গাজোলের (Gajole) বৈরগাছি -২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বানিয়াপুকুর গ্রামে। অপহৃত যুবকের নাম আল মামুন আলি (কাদির)(২৪)। মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসার পরই গাজোল থানায় লিখিতভাবে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন বাবা। পরিবারের অভিযোগ অপহরণকারীরা হলেন গ্রামেরই তিন যুবক সামাউন আলি(৩২), হেফজুর রহমান (৩৫) এবং জালালুদ্দিন (৬০)। অভিযোগ দায়েরের পরই নিখোঁজ কাদিরের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে অপহৃত যুবকের বাবা সহিদুর রহমান জানালেন, গতকাল দুপুরে বৈরগাছি হাটে যাওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ তাঁর ছেলে কাদির। সারাদিন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও খোঁজ পাননি ছেলের। কাদিরের মোবাইলে ফোন করলে দেখা যায় ফোনের সুইচ অফ। এরপর সোমবার রাত এগারোটা নাগাদ তাঁর ছেলের মোবাইল নম্বর থেকে বাড়িতে একটি ফোন আসে। সেই ফোনে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। একটু পরে ফোনের কথোপকথন রেকর্ড করতে গেলেই ফোনের সুইচ অফ করে দেওয়া হয়। এরপরই এদিন অভিযুক্ত তিনজনের নামে গাজোল থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ওরাই আল মামুন আলি ওরফে কাদিরকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করছে।
অপহৃত যুবকের কাকা কবিদুল হোসেন বললেন, “সম্প্রতি বিবাদীদের সঙ্গে একটি মেয়ে ঘটিত বিষয় নিয়ে গন্ডগোল বেঁধেছিল। ওদের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় কয়েকদিনের জন্য জেল হয়েছিল আল মামুনের। কিন্তু পরে সে জামিনে ছাড়া পায়। এরপর বিষয়টি নিয়ে মীমাংসার জন্য বেশ কয়েকবার সালিশি সভা হয়। মীমাংসার জন্য ওরা মোটা অংকের টাকা দাবি করে। কিন্তু আমরা সেই টাকা দিতে অস্বীকার করি। আমাদের মনে হয় সেই টাকা আদায়ের জন্য মামুনকে অপহরণ করেছে ওরা। তাকে উদ্ধারের জন্য গাজোল থানায় তিনজনের নামে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছি আমরা।”
গাজোল থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অপহরণ ও মুক্তিপণ সংক্রান্ত একটি অভিযোগপত্র জমা পড়েছে। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গুরুত্ব বুঝে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অপহৃত যুবককে উদ্ধারের জন্য সমস্ত রকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে ঠিক কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে সেই বিষয় নিয়েও তদন্ত হচ্ছে।