উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ উত্তর কোরিয়ায় ক্রমশ কমছে জন্মহার। আর এই কারণেই উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট সরকার। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উত্তর কোরিয়ার একচ্ছত্র নায়ক তথা সেদেশের সর্বাধিনায়ক কিম জং উন। সাম্প্রতিক একটি অনুষ্ঠানে দেশের জন্মহার কমে যাওয়া নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন কিম। এমনকী, তাঁকে রীতিমতো কাঁদতে এবং চোখ মুছতে দেখা যায়। তাঁর এই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি কাঁদতে কাঁদতেই দেশের মহিলাদের প্রতি তাঁর আর্জি, দেশকে সচল রাখতে গেলে তাঁরা যেন আরও বেশি করে সন্তান ধারণ করেন।
যার কথাতে চলে গোটা দেশ, যার হুকুম অমান্য করার শাস্তি ভয়ঙ্কর, তিনি হলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন। এই কিমের চোখেই জল। সেই ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে তাঁকে রীতিমতো কাঁদতে এবং চোখ মুছতে দেখা যায়। গত রবিবার উত্তর কোরিয়ার পিয়ংইয়ংয়ে মায়েদের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কিম। ভাষন দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “জন্মহার ক্রমশ কমে যাওয়ার ঘটনা আটকাতে হবে। শিশুরা যাতে আরও ভালভাবে বড় হয়, সেদিকে নজর রাখার বড় দায়িত্ব মায়েদের। ঘর সংসারের কাজের পাশাপাশি শিশুদের নজর রাখতে হবে প্রত্যেককে। সরকার পাশে আছে। দেশকে সচল রাখতে গেলে মহিলারা যেন আরও বেশি করে সন্তান ধারণ করেন।” এছাড়া দেশ ও জাতি গঠনে তাঁদের ইতিবাচক ভূমিকার জন্য মায়েদের ধন্যবাদ জানান উত্তর কোরিয়ার এই নেতা।
কিম আরও বলেন, “যখন দল কিংবা দেশ চালানোর কাজ করতে গিয়ে আমি কোনও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হই তখন সব সময় আমি মায়েদের কথা ভাবি। যেভাবে তাঁরা পরিস্থিতি সামাল দেন, সেটার কথা মনে করি”।
পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েক দশক ধরেই উত্তর কোরিয়ার জনসংখ্যা ক্রমশ কমছে। ২০২৩ সালে ইউনাইটেড নেশনস পপুলেশন ফান্ডের একটি তালিকা থেকে জানা গেছে, দেশটির জন্মহার, কিংবা মহিলা পিছু সন্তানের সংখ্যা এখন ১.৮। শুধু উত্তর কোরিয়াই নয়, জন্মহার কমছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ারও। গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্মহার ছিল ০.৭৮। জাপানের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটি হল ১.২৬।
উত্তর কোরিয়ায় মোট ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের বাস। জন্মহার অস্বাভাবিক কমে যাওয়ায় সেদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ মানুষের অভাব দেখা দিচ্ছে। বর্তমানে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। জন্মহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে মানুষকে উৎসাহিত করতে সরকারি উদ্যোগে ম্যাচমেকিংয়ের আয়োজন করা হচ্ছে।