কিশনগঞ্জঃ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হলেন দুই পুলিশকর্মী। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে কিশনগঞ্জ শহর সংলগ্ন চাকুলিয়া থানা এলাকার বিলাতিবাড়ি গ্রামে। এই ঘটনায় নিজেদের আত্মরক্ষার স্বার্থে পুলিশ ৫ রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ ২ গ্রামবাসী বলে খবর। পুলিশের গুলি চালনার প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা এদিন ২৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
জানা গিয়েছে, এদিন জনা কয়েক দুষ্কৃতী কিশনগঞ্জ থানা এলাকায় একটি ভুট্টা বোঝাই ট্র্যাক্টরকে হাইজ্যাক করে নিয়ে যায় চাকুলিয়া থানার অধীন বিলাতিবাড়ি গ্রামে। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে কিশনগঞ্জ থানার পুলিশের একটি দল অভিযুক্তদের পাকড়াও করতে হানা দেয় চাকুলিয়া সংলগ্ন বিলাতিবাড়ি গ্রামে। এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন থানার আইসি সন্দীপ কুমার। সেখানে গিয়ে পুলিশ এক অভিযুক্তকে আটক করে ট্র্যাক্টরটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা তাঁদের ঘিরে ফেলে। এমনকী পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ। গ্রামবাসীদের ছোঁড়া ইটে জখম হন দুই পুলিশকর্মী। এরপরই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কমপক্ষে ৫ রাউন্ড গুলি চালায় বলেও অভিযোগ। পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে বিদ্ধ হন বিলাতিবাড়ি গ্রামের দুই বাসিন্দা নুর আলম ও মহম্মদ রিজওয়ান। বর্তমানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে চাকুলিয়া হাসপাতালে। তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিন পুলিশের গুলি চালনা ও হামলার প্রতিবাদে স্থানীয় গ্রামবাসীরা অবরোধ করে ২৭ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই অবরোধের ফলে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। পরি ঘটনাস্থলে চাকুলিয়া থানার বিরাট পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে গ্রামবাসীদের ওপর গুলি চালনার ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে বিহারের কিশনগঞ্জ থানার আধিকারিক গৌতম কুমার। উপরন্তু পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আরও একটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিহারের কিশনগঞ্জ থানার পুলিশ বাংলার চাকুলিয়া থানা এলাকায় এসে অভিযান চালানোর ঘটনাকে ভালোভাবে নেয়নি উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশ। ডালখোলার এসডিপিও রথিন নাথ বিশ্বাস জানিয়েছেন, এদিন কিশনগঞ্জ থানার পুলিশ বিলাতিবাড়ির একজন অভিযুক্ত যুবককে ধরতে এসেছিল পশ্চিমবঙ্গের অধীন চাকুলিয়া থানাকে আগাম না জানিয়ে। এই পুলিশ আধিকারিকের দাবি, এদিনের ঘটনাস্থল থেকে ২টি কার্তুজের খোল উদ্ধার হয়েছে।