শিলিগুড়ি: এবার শিলিগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশন (Ramakrishna Mission) কাণ্ডে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামল শিলিগুড়ি পুরনিগম (Siliguri Municipal Corporation)। শুক্রবার আশ্রমে গিয়ে আশ্রমের জমির মিউটেশন ও হোল্ডিং ট্যাক্সের নথিপত্র মহারাজদের হাতে তুলে দিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব ও মেয়র পারিষদরা। মেয়র জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি এসে মিশন কর্তৃপক্ষের আবেদন মতো মিউটেশনের নথি ও বাকি কাগজপত্র তুলে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত রবিবার গভীর রাতে শিলিগুড়ি সেবক রোডে অবস্থিত জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের অধীনস্ত সেবক হাউস থেকে রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের উচ্ছেদের চেষ্টা চালায় একদল দুস্কৃতী (Attack on Siliguri Ramkrishna Mission)। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে মিশনের কর্মচারী ও মহারাজদের আশ্রম থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গভীর রাতে শিলিগুড়ির এনজেপি এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। আশ্রমের জমি দখলেরও হুমকি দেওয়া হয়। এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আশ্রম কর্তৃপক্ষ। যদিও প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পালটা অভিযোগ দায়ের করে অভিযুক্ত নিজেও। রামকৃষ্ণ মিশনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জামিনযোগ্য ধারা দিয়ে মামলা দায়ের হলেও অভিযুক্ত প্রদীপ রায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিশনের এক সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করে পুলিশ। সিল করে দেওয়া হয় সেবক হাউস।
পুলিশের এই ঘটনায় সর্বত্র ক্ষোভ ছড়ায়। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে পুলিশ তড়িঘড়ি তালা খুলে আশ্রমে ফেরায় সন্ন্যাসীদের। গ্রেপ্তার করা হয় এক তৃণমূল কর্মী সহ ৫ অভিযুক্তকে। যদিও মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা বলে জানা গেছে। সর্বত্র এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা শুরু হয়। এরপরই পুরনিগম দ্রুত আশ্রমের মিউটেশন ও হোল্ডিং ট্যাক্সের নথি মহারাজের হাতে তুলে দেয়। এদিন মেয়রের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রতুল চক্রবর্তী ছাড়াও অন্য মেয়র পারিষদরাও ছিলেন। জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক স্বামী শিবপ্রেমানন্দ জানিয়েছেন, কিছু নথি পেয়েছেন। কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তাঁরা এখনও উদ্বিগ্ন। পুলিশকে আশ্রম ও আশ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।