উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মানসিক চাপ, নিয়ম মেনে না খাওয়া, অনিয়মিত ঘুম মাথা ব্যথার প্রধাণ কারণ। আর সেই ব্যথা যদি মাইগ্রেনের হয় তাহলে আপনার আর করার কিছুই থাকে না। সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ এই ব্যাথার স্বীকার। তবে শুধুমাত্র অতিরিক্ত মানসিক চাপ এর কারণ তা নয়। জেনেটিকস জনিত কারণ, হরমোনের পরিবর্তনও এর কারণ হতে পারে। কখনও কখনও ওষুধেও এই ব্যথা সারে না। তবে বেশ কিছু খাবার আছে যা আপনাকে মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
কেন মাথাব্যথা হচ্ছে বুঝবেন কীভাবে?
মাথাব্যথার কয়েকটা ধরণ আছে, বিশেষ বিশেষ শারীরিক সমস্যা ছাড়া মোটামুটি সেই ধরনগুলি অনেকের ক্ষেত্রেই মিলে যায়৷ যেমন ধরুন, স্ট্রেস বা টেনশনের কারণে মাথাব্যথা হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে ব্যথাটা আপনার গোটা মাথা জুড়ে ছড়িয়ে থাকবে, বিশেষ করে কপালে আর মাথার পিছন দিকে ব্যথাটা বেশি বিব্রত করে৷ এই ধরনের ব্যথা বেশ কিছুক্ষণ থাকে৷ ঘুমোলে, ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করলে বা আলো বন্ধ করে চোখ বুজে থাকলে আরাম মেলে৷ সাইনাসের মাথাব্যথা দেখা দেয় ঋতু বদলের সময় বা ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হলে৷ ব্যথাটা শুরু হয় নাকের ব্রিজে, কপালের দু’পাশ পর্যন্ত যায় এবং দপদপ করে৷ স্টিম ইনহেল করলে এই মাথাব্যথায় আরাম পাওয়া যায়৷ যাঁদের মাইগ্রেন আছে, তাঁদের মাথাব্যথাটা সাধারণত শুরু হয় কপালের দু’পাশের রগের কাছে৷ চোখে বা মাথার পিছন পর্যন্ত ব্যথাটা চারিয়ে যায়৷ সঙ্গে থাকে মাথা ঘোরা আর গা বমি ভাব৷ বমিও হয় ক্ষেত্র বিশেষে৷ অ্যাসিডিটি, আলো, শব্দের প্রভাবে এই মাথাব্যথা বাড়তে পারে৷ এছাড়া চোখের পিছনে ও মাথার পিছনদিকে আচমকা তীব্র ব্যথার অনুভূতিও বিব্রত করে বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে, একে বলে ‘ক্লাস্টার হেডএক’৷
কোন কোন পদ্ধতির আশ্রয় নিলে মাথাব্যথা কমে?
কাজ থেকে বিরতি নিন, রিল্যাক্স করুন: যদি মনে হয় যে মাথাব্যথা আপনাকে এমন বিব্রত করছে যে আপনি কাজে মন দিতে পারছেন না, তা হলে অবশ্যই খানিকক্ষণের বিরতি নিন৷ অন্তত আধ ঘণ্টা যদি কোনও অন্ধকার ঘরে একেবারে রিল্যাক্সড মুডে বা চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকতে পারেন, তা হলে উপকার পাবেন৷ এই সময়ে আপনার ঘাড়ে যেন বাড়তি প্রেশার না পড়ে সেটা দেখতে হবে৷ কারও কারও এরকম সময় ঠান্ডা ঘরে থাকলে ভালো লাগে, কারও পছন্দ উষ্ণ আবহ৷ আপনার ক্ষেত্রে কোনটা আরাম দিচ্ছে, সেটা দেখে নিন৷
জল খান: শরীর ডিহাইড্রেটেড হতে আরম্ভ করলেই কিন্তু মাথাব্যথার মাধ্যমে আপনাকে সিগন্যাল দিতে পারে৷ তাই পর্যাপ্ত জল পান করুন৷ মাথা ব্যথা একবার শুরু হয়ে গেলে কিন্তু খুব ঠান্ডা বা খুব গরম জল খাবেন না, তাতে অস্বস্তি বাড়তে পারে৷
কফি বা চায়ের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন না: অনেকেই মাথাব্যথা কমাতে কফি বা চায়ের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েন, সেটা উচিত নয়৷ এর ফলে গোড়ায় সাময়িক আরাম হলেও পরে আবার ক্যাফেইনে অতিরিক্ত নির্ভরতা তৈরি হতে পারে৷
টেনশন বা সাইনাসের ব্যথার ক্ষেত্রে মাসাজে আরাম পাবেন: মাসাজের বিশেষ কয়েকটি পদ্ধতি কাজে দিতে পারে৷ ঘাড়ের ব্যায়াম আর নির্দিষ্ট কিছু প্রাণায়ামও এই ধরনের ব্যথা কমাতে কার্যকর৷
পারফিউমের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত রাখুন: সাবান, ময়েশ্চরাইজ়ার বা আপনার প্রিয় সুগন্ধির বোতলটিও কিন্তু মাথাব্যথার কারণ হতে পারে৷ তাই এগুলি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন৷ গন্ধহীন প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়৷