উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayet election 2023) ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনায় হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল।, দক্ষিণ সাঁকরাইলের পঞ্চায়েতের বিজয়ী প্রার্থীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাটা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Amrita Sinha)। সেই সঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন আলোচনা করে এই কেন্দ্রে যেন নির্বাচন করে। লোকসভা ভোটের আগে বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল।
ঠিক কী ঘটেছিল দক্ষিণ সাঁকরাইলের পঞ্চায়েত ভোটে? ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে সাঁকরাইলের গণনা কেন্দ্রে তৎকালীন ওসির উপস্থিতিতে ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের লোকজনের বিরুদ্ধে। ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূল বিধায়ক প্রিয়া পালের। তাঁর উসকানিতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রের খবর, দক্ষিণ সাঁকরাইলে তৃণমূলে টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন কাশ্মীরা খান। কিন্তু তিনি অনেক ভোটে এগিয়ে ছিলেন। এই খবর পাওয়া মাত্রই গননা কেন্দ্রের ভিতরে বিধায়ক প্রিয়া পাল ঢুকে যান। অভিযোগ, স্থানীয় ওসির সামনেই ব্যালট ছিনতাই করে বিধায়ক ও তাঁর অনুগামীরা। এর জেরে কাশ্মীরার ভোট কম পড়ে যায়। সেদিন জোর করে ব্যালট ছিনতাই করে ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রার্থী সাইমা জমাদারকে বিজয়ী বলে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল।
কাশ্মীরার অভিযোগ, ‘গণনায় যখন ফলাফল আমার পক্ষে যাচ্ছিল তখনই আমার পক্ষে ভোট দেওয়া ব্যালট লুঠ করা হয়। এদিকে জেলা ও ব্লক প্রশাসন এই ব্যালট ছিনতাইয়ের বিষয়টি কার্যত মেনে নেয়। তারপরই এনিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। শেষে বিরাট নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
জোর করে ব্যালট ছিনতাই করে দলীয় প্রার্থীকে জিতিয়েও শেষ রক্ষা হল না। সাঁকরাইলের ঘটনায় বিরাট ধাক্কা খেল তৃণমূল। এর জেরে অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূলের। সব মিলিয়ে সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে সেই পঞ্চায়েত ভোটের সন্ত্রাসের কাঁটায় ফের বিদ্ধ হল ঘাসফুল শিবির।