লাটাগুড়ি: দুর্গম এলাকায় ভোটকর্মীদের পৌঁছে দেওয়া, কিংবা বুনো হাতিদের থেকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে এর আগে একাধিকবার নির্বাচনের সময় কুনকি হাতিদের ব্যবহার করেছিল নির্বাচন কমিশন। তবে নির্বাচন কেন্দ্র রক্ষা থেকে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হলেও নির্বাচনে কুনকি হাতির ব্যবহারের এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি নির্বাচন কমিশন। তাই এবার নির্বাচনের সময় নিজেদের প্রতিদিনের কাজেই ব্যস্ত থাকবে গরুমারার কুনকি হাতিরা।
জলপাইগুড়ি জেলায় বিভিন্ন জঙ্গল লাগোয়া বনবস্তির নির্বাচন কেন্দ্রগুলিতে হাতির হামলা চিন্তার বিষয় হয়ে থাকে নির্বাচন কমিশনের কাছে। তাছাড়া জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন নির্বাচন কেন্দ্রে পৌঁছানো, কিংবা দুর্গম এলাকায় ভোটকর্মীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য এর আগে একাধিকবার বন দপ্তরের কুনকি হাতির সাহায্য নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে চলতি বছর এখনও পর্যন্ত বন দপ্তরের কুনকি হাতি ব্যবহারের জন্য কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি নির্বাচন কমিশনের তরফে।
উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণী বিভাগের বনপাল ভাস্কর জেভি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের তরফে এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনও কুনকি হাতি চাওয়া হয়নি।’ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চলতি বছর যেহেতু উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে যে সমস্ত জঙ্গল লাগোয়া অঞ্চলগুলো রয়েছে সেখানে প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল নির্বাচন রয়েছে। সেই সময় ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা থাকলেও ডুয়ার্সে যে বিভিন্ন খরস্রোতা নদী রয়েছে সেখানে বেশি জল থাকবে না। অনেক সময় দেখা গিয়েছে, ভারী বর্ষণে হঠাৎ করে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে ভোটকর্মীরা কোথাও আটকে পড়লে তাঁদের নদী পার করার জন্য কুনকি হাতির সাহায্য নেওয়া হয়। কিন্তু চলতি বছর সে ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাছাড়া বিভিন্ন বনবস্তি সংলগ্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলি পাহারার জন্য ইতিমধ্যেই পর্যাপ্ত বনকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।
জলপাইগুড়ির জেলা শাসক তথা জেলা নির্বাচনি আধিকারিক শামা পারভিন বলেন, ‘নির্বাচনে নিযুক্ত কর্মচারীদের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের বনাঞ্চল সংলগ্ন এলাকায় নিয়ে আসা নিয়ে যাওয়া এবং তাঁদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত বনকর্মী থাকবে।’