মানিকচক: গত কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টিতে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে গঙ্গা ও ফুলহরে। বর্তমানে জলস্তর বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। আর তার ওপর শুরু হয়েছে নতুন করে ভাঙন। রবিবার সন্ধ্যে থেকে মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঈশ্বরটোলা এলাকায় আবারও গঙ্গা ধ্বংসলীলায় মেতেছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ভাঙনে ঈশ্বরটোলা এলাকার কয়েক বিঘা জমি গঙ্গার গর্ভে তলিয়ে যায়। সোমবার সকালে গঙ্গার আরও ভয়ংকর রূপ দেখা গিয়েছে। এরূপ ভয়ংকর ভাঙন চললেও কোনও প্রশাসনিক আধিকারিকের দেখা মেলেনি। আর এতেই চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যে। এলাকায় ভাঙন রোধের স্থায়ী কাজ না হওয়ার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে দুষলেন এই এলাকার মানুষজন।
গত সপ্তাহ থেকে গঙ্গা ও ফুলহর নদীর জলস্তর কমতে শুরু করে। গত এক সপ্তাহে মানিকচকের কোনও এলাকায় নতুন করে ভাঙনের খবর পাওয়া যায়নি। ফলে স্বভাবতই মানিকচকের নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষজন কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছিল। কিন্তু মানুষের স্বস্তি কেড়ে নিল গত কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টি। প্রবল বর্ষণে গঙ্গা ও ফুলহরের জলস্তর বাড়তে শুরু করে। প্রশাসনগতভাবে জানানো হয়েছে, গঙ্গার জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। আবার আগামী কয়েকদিনে জলস্তর আরও বাড়লে এবং নদী বাঁধ ভাঙনে তলিয়ে গেলে বন্যা অবশ্যম্ভাবী। ফলে গোপালপুর ধরমপুর মিল্কি ও শোভানগরের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার কবলে পড়ার চরম আশঙ্কা রয়েছে।
গোপালপুরের স্থানীয় বাসিন্দা নইমুদ্দিন শেখ জানান, চোখের সামনে এক বিঘা জমিতে থাকা প্রায় ২০-২২টি আমগাছ নিমিষের মধ্যে গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যায়। বাড়িও ভেঙে গিয়েছে। ভবানীপুরের মাঠে থাকছে সকলে। প্রশাসনিকভাবে কোনও সাহায্য নেই। এই অবস্থায় গাছগুলি নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তিনি।