উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবারের ব্রিগেড (Dyfi Brigade meeting) ভরিয়ে দিল বামেরা। রাজ্যজুড়ে ইনসাফ যাত্রার পর খাতায় কলমে ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকা ব্রিগেড হলেও সমাবেশ সফল করতে জান লড়িয়ে দিয়েছে সিপিএম। দিনের শেষে হিসেব বলছে বামেদের প্রচেষ্টা সফল। ‘ইনসাফ যাত্রা’ শেষে রবিবার ব্রিগেডের সমাবেশে উপস্থিত হলেন প্রচুর কর্মী-সমর্থক। দলনেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Meenakshi Mukherjee) তাঁদের মনে করিয়ে দিলেন, ‘ইনসাফ যাত্রা’ শেষ হলেও ইনসাফের জন্য লড়াই শেষ হয়নি।
ভিড় ব্রিগেডে দাঁড়িয়ে বাম নেতা-নেত্রীরা একটি বিষয় স্পষ্ট করলেন, সুবিচার চেয়ে লড়াই শেষ নয়, বরং এই ব্রিগেডের মাঠ থেকেই শুরু হল। রাজ্য সঙ্গীত ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ দিয়ে শুরু হয় ব্রিগেডের সভা। সমাবেশের শেষে ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করেন মিনাক্ষী। পাঠ করা হয় ডিওয়াইএফআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বার্তাও। বক্তব্যে মহম্মদ সেলিম (MD Selim) জানান, বাংলাকে উত্তরপ্রদেশ বা মণিপুর হতে দেবেন না। তা রুখে দেখাবেন বাংলার মানুষ। সেলিম বেঁধেন মমতা তথা তৃণমূলকেও। জানান, এক জন ‘কাকু’র কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করতে ছ’মাস সময় লাগলে পিসির কণ্ঠস্বর নিতে কত সময় লাগবে? বলেন, ‘‘ওঁর একটাই লক্ষ্য, পরিবারকে রক্ষা করা।’’ মিনাক্ষী জানান, ‘গোটা রাজ্যের রাজনীতির যখন দখল নেয় বামেরা, তখন ডানদিকের অসুবিধা হয়।’’ তিনি জানান, বামপন্থীদের লড়াই একটা গলিতে সীমাবদ্ধ নয়। মনে করালেন, সিপিএমের নিহত কর্মী আনিস খান, সুদীপ্ত গুপ্তদের কথা।
তবে ইতিহাস বলছে অতীতেও ব্রিগেড ভরিয়েছে বামেরা। মমতার শাসনে বেশ কয়েকবার ভরা ব্রিগেডে বিমান-সেলিমদের ভাষণ শুনেছে রাজ্যবাসী। কিন্তু ভোটের ফলে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। যার ব্যাখাও নিজের নিজের মতো করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন সেলিম মীনাক্ষীরা। সেলিম বলেন, ‘এখানে অনেকে বলবেন এত লোক হল ভোটটা কোথায়? আপনারা জানেন না পঞ্চায়েত নির্বাচন কীভাবে হয়েছে। প্রথমে বলল চোর ধরো জেলে ভরো। চোর ধরল না। চোর পাহাড়া দিল। আমরা বললাম গ্রাম জাগো। গ্রাম জাগল। চোর ধরল।’ মীনাক্ষী বলেন. ‘কোন গর্ধবরা বলে বামপন্থীরা শূন্য? আসলে শূন্যের মূল্য ওরা জানে না। ওরা বামপন্থীদের শক্তিকে ভয় পায়। আমাদের কোনও আক্ষেপ নেই। আমাদের কোনও রাগ নেই। তবে আশঙ্কা রয়েছে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ রুটি-রুজির কথা বলে কি না।’ বামেদের ব্রিগেড প্রসঙ্গে তৃণমূলের (Tmc) কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) জানান, ডিওয়াইএফআইয়ের সমাবেশের নামে কিছু লোক ব্রিগেড যাবেন। কিন্তু সিপিএমকে ভোট দেবেন না।