উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ কানায় কানায় পূর্ণ ব্রিগেড(Brigade)। সকলের মধ্যমণি হয়ে মঞ্চে বসে আছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়(Minakshi Mukherjee)। গোটা ব্রিগেডের হাজার হাজার মানুষের নজর এই মীনাক্ষীর দিকেই। সংখ্যার বিচারে শূন্য আসনে থাকা বামেদের ব্রিগেডে হাজার হাজার মানুষের জমায়েত দেখে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য অন্যান্য দলগুলির। আর সেই ভরা ব্রিগেডে বক্তব্যের একেবারে শেষ অংশ কাজী নজরুল ইসলামের(Kaji Najrul Islam) ‘বিদ্রোহী’ কবিতা বলতে গিয়ে ভুলে গেলেন মীনাক্ষী। বললেন, আমি বিদ্রোহী রণক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত। যেদিন….এরপর বললেন, ভুলে গেছি। এরমধ্যে কোনও ভনিতা ছিল না মীনাক্ষীর। যদিও পরের লাইনটা একটু সংশোধন করে বললেন মীনাক্ষী। আর এই বিষয়টিই নজর কেড়েছে ব্রিগেডে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষের। নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার লাইন ভুলে যাওয়া সাদরে গ্রহন করেছেন দলের কর্মী সমর্থকরা। এদিন ব্রিগেডের মন জয় করলেন মীনাক্ষী।
এদিন ব্রিগেডে মীনাক্ষীর বক্তব্য শেষ করার পরেই বক্তব্য রাখতে ওঠেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম(Md Selim)। বক্তব্য রাখতে উঠেই সেলিম বলেন, ‘কাজি নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতা বলতে গিয়ে, ভুলে গিয়েছিল মীনাক্ষী। অনেকে আমায় বলেন, দক্ষিণপন্থী আর বামপন্থীদের মধ্যে ফারাক কোথায়? দেখুন এটাই হল দক্ষিণপন্থী আর বামপন্থীদের মধ্যে ফারাক। মীনাক্ষী বলল, ভুলে গেছি। আসলে রণক্লান্ত। তবে শান্ত হবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও দিন বলতে পারতেন ভুলে গেছি? মোদি কোনও দিন বলতেন ভুলে গেছি! ফ্যাসিস্টরা কোনওদিন স্বীকার করেন না নিজেদের ভুল। কিন্তু বামপন্থীরা ভুল স্বীকার করতে জানেন। ভুজুং ভাজুং দেয় না, ডহরবাবুকে খোঁজে না। আমরা চোরকে চোর বলতে, দুর্নীতিগ্রস্তদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলতে ভয় পায়নি। বামপন্থা ভয় পায়নি ভয় পায়না। একবার যদি ভয়কে জয় করা যায় যাকে আপনি ভয় করছেন দেখবেন সে আপনার থেকেও ভীরু।’