গয়েরকাটা: ৫৫ বছর আগের কথা। জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে অন্যতম কৃষি বলয় হিসেবে পরিচিত দুরামারিতে পর পর কয়েক বছর ফসলের ব্যাপক ক্ষতিতে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল গোটা গ্রামে। ব্যাপক ক্ষতিতে মুষড়ে পড়েছিলেন এলাকার কৃষকেরা। শেষ পর্যন্ত কোনও উপায় না পেয়ে সারা গ্রাম একত্রিত হয়ে ফসলের মহামারি থেকে রেহাই পেতে দেবী লক্ষ্মীর শরণাপন্ন হয়। দেবী উপাসনার পর বদলে যায় পুরো চিত্রটাই। সেই থেকে ‘লক্ষ্মী গ্রাম’ হিসেবে পরিচিতি পায় দুরামারি। জনশ্রুতি আছে সেই থেকে শস্য শ্যামলার রূপ ফিরে পায় গ্রাম। এরপর থেকে এলাকার প্রধান পুজো হয়ে ওঠে লক্ষ্মীপুজো। এখানে দুর্গা বা কালী পুজোর আয়োজন নিয়ম রক্ষার পুজো হলেও সারা বছর লক্ষ্মীপুজোর জন্যই অপেক্ষা করে থাকেন এলাকাবাসী।
অন্যান্য জায়গায় লক্ষ্মীপুজো মূলত গৃহস্থের বাড়িতে হলেও দুরামারিতে বিভিন্ন ক্লাবের উদ্যোগে প্রায় ৩৫টি সর্বজনীন পুজোর আয়োজন হয়ে থাকে। শুধু পুজোই নয়, পুজোর পরও এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের পাশাপাশি ৩ দিন ধরে বিরাট মেলাও বসে। এবছর ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত মেলা চলবে। সেখানে বিভিন্ন ক্লাবের বড় বড় প্রতিমা নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়ে থাকে। এবছরও দুরামারিতে এখন লক্ষ্মীপুজোকে ঘিরে ব্যস্ততা চূড়ান্ত লগ্নে। এলাকায় চলছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। সেই সঙ্গে পুজো উপলক্ষ্যে চলছে নতুন জামা কেনাকাটাও।