গাজোলঃ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্মঘাতী পড়ুয়া উত্তম মার্ডির পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করতে যান বাম ছাত্র ও যুব সংগঠন এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই এর জেলা নেতৃত্ব। গিয়েছিলেন মালদা জেলা সিপিআইএম নেতৃত্ব। শুক্রবার মৃতের বাড়িতে গিয়ে কথা বলেন পরিবারের লোকেদের সঙ্গে। সেই সঙ্গে মৃতের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন উপস্থিত বাম নেতারা।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উত্তম মার্ডি। এমনই অভিযোগ মৃতের পরিবারের। এদিন মৃত ছাত্রের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করতে যান এসএফআই এর জেলা সম্পাদক চিরঞ্জিত মণ্ডল, সভাপতি কৌশিক মৈত্র, ডিওয়াইএফআই এর জেলা সম্পাদক অরূপ পোদ্দার, এসএফআই ব্লক সম্পাদক কমল রায়, ডিওয়াইএফআই ব্লক সভাপতি নিশীথ দেবনাথ সহ প্রাক্তন বিধায়ক সাধু টুডু, বাম নেতা অরুণ বিশ্বাস, অরুণ দাস সহ অন্যান্যরা। বাম নেতৃত্বের বক্তব্য, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে ‘ইন্ট্রো’ দেওয়ার নামে উত্তমের উপর যেভাবে অত্যাচার হয়েছে তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। ছাত্র নামধারী একশ্রেণীর দুষ্কৃতীরা বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে ঘাঁটি গেড়েছে। তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা নতুন ছাত্রদের উপর ‘ইন্ট্রো’ দেওয়ার নামে যেভাবে নির্যাতন চালায় তা একমাত্র বিকৃতমনস্কদের পক্ষেই সম্ভব। তবে যাদবপুরের ঘটনার পরেও যে এই সমস্ত দুষ্কৃতীরা কোন শিক্ষা নেয় নি তা এই ঘটনা থেকেই পরিষ্কার। এই ঘটনায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা হোস্টেল সুপার তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা ধরনের কমিটি থাকলেও আদতে সেই কমিটিগুলো যে অকেজো এই ঘটনায় তা আরেকবার পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
তাঁরা আরও বলেন, ‘আসলে গোটা রাজ্যে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি চলছে। এই সরকার যে দুষ্কৃতীদের সরকার, সে কথা তারা ভালোভাবেই জানে। তাই প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। আমরা উত্তমের পরিবারের পাশে আছি। উত্তমের পরিবার যাতে সঠিক বিচার পায় তার জন্য আমরাও আন্দোলনে নামব’।
আত্মঘাতী পড়ুয়া উত্তমের দিদি পাঞ্চালি মার্ডি জানালেন, এদিন বাম নেতৃত্ব আমাদের বাড়ি এসেছিলেন। তারা আমাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। অন্যদিকে তদন্তের জন্য থানা থেকে আমাদের আবার ডেকে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ যা যা জানতে চায় সবকিছু জানাতে প্রস্তুত আমরা।