জ্যোতি সরকার,জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়িতে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামফ্রন্টের ভোট বাড়ায় কিছুটা চাপে পদ্ম শিবির।গত লোকসভা নির্বাচনে বামেদের একটি বড় অংশের ভোট গেরুয়া শিবিরের ভোটবাক্সে চলে গিয়েছিল।গত লোকসভা নির্বাচনে বামেরা ভোট পেয়েছিল মাত্র সাত শতাংশ। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামফ্রন্টের ভোট বেড়ে ২৩.৯ শতাংশে দাঁড়ায়।
একেই বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমস্যার শেষ নেই। এখনও জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি পদ্ম শিবির। জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামী জানান, কবে প্রার্থী ঘোষণা হবে, তা তাঁর পক্ষে নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।পাশাপাশি বামেদের ভোট বাড়ায় বিজেপিকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। যদিও বামেদের ভোট বৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। বাপির কথায়, তাঁরা মোটেই চিন্তিত নন। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে বিজেপি ভোট পেয়েছিল ৪১ শতাংশ। বামফ্রন্ট ভোট পেয়েছে আট শতাংশ।
এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট বাড়ায় বাম শিবির খুবই উজ্জীবিত। এবিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা সিপিএমের সম্পাদক সলিল আচার্য বলেন, ‘মানুষ নিজের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে দেখছেন তৃণমূল এবং বিজেপি সাধারণ মানুষকে ভাতে মারতে চায়। মানুষ পুনরায় বামফ্রন্টকে সমর্থন করছেন বিপুল সংখ্যায়। তাই গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বামফ্রন্টের ভোট পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৬ শতাংশ বেড়েছে। এবারে আমরা জলপাইগুড়ি লোকসভা ক্ষেত্রে তরুণ দেবরাজ বর্মনকে প্রার্থী করেছি। তাঁকে নিয়ে সব জায়গায় বিপুল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে বামফ্রন্ট প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হবেই।’
এদিকে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা গোবিন্দ রায়ের বক্তব্য, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বামফ্রন্ট প্রার্থীর অনুকূলে ঝড় উঠেছে। মানুষ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন বামফ্রন্টকে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী করে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনবেন।
এদিকে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেও বিজেপির জেলা দপ্তরে কোনও রাজনৈতিক উত্তাপ নেই। ভোটের জন্য পদ্ম শিবিরের তরফে কোথাও পথসভা এবং জনসভাও হচ্ছে না। প্রার্থী নিয়েও দলে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে বলে জানা গিয়েছে। একদল তাকিয়ে রয়েছে জয়ন্ত রায়কে পুনরায় মনোনয়ন দেওয়া হয় কি না সেদিকে। অন্যদিকে, একটি গোষ্ঠী জলপাইগুড়ির একজন তরুণ আইনজীবীকে বা স্বপ্না বর্মনকে প্রার্থী হিসেবে চাইছে বলে জানা যাচ্ছে।