চাঁচল: প্রার্থী তালিকা প্রকাশ না হতেই ডিসিআর কাটতে ভিড় তৃণমূল নেতাদের। মঙ্গলবার চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের মনোনয়ন কেন্দ্রে পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম সংসদের আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্য ডিসিআর কাটতে আটটি অঞ্চল থেকে ভিড় জমালেন তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। যদিও ডিসিআর কাটলেও তাঁরা এখনও মনোনয়ন জমা দেননি। তবে এই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে যে, প্রার্থী তালিকা আসার আগে কীভাবে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিশ্চিত হলেন তাঁরা প্রার্থী হবেন? যদিও ডিসিআর কাটতে আসা সম্ভাব্য প্রার্থীদের দাবি, তাঁরা অঞ্চল এবং ব্লক নেতৃত্বের অনুমতি নিয়ে ডিসিআর কাটতে এসেছেন। পরবর্তীতে দলের সিদ্ধান্ত তাঁরা মেনে নেবেন। অন্যদিকে, ব্লক সভাপতি জানিয়েছেন, যেহেতু প্রার্থী তালিকা আসেনি, তাই তাঁরা কাউকে কোনও অনুমতি দেননি। এই ঘটনা নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। যার জেরে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।
মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিক পাড়া বুথ থেকে তৃণমূলের ডিসিআর কাটতে আসা সম্ভাব্য প্রার্থী মহম্মদ রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এখনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়নি। হাতে তো বেশি সময় নেই। বুথ থেকে প্রার্থী হিসেবে আমার নাম গিয়েছিল। আমি নেতৃত্বের অনুমতি নিয়ে আজ ডিসিআর কাটতে এসেছি। আমার সঙ্গে আমাদের অঞ্চলের আরও অনেকে এসেছে।‘
যদিও এই প্রসঙ্গে চাঁচল-১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি আফসার আলির দাবি, যেহেতু এখনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়নি তাই দলগতভাবে কোনওরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যারা ডিসিআর কাটছেন তাদের অনুমতি দেয়নি নেতৃত্ব। এই নিয়ে উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি অয়ন রায় চৌধুরী তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘তৃণমূল এই মুহূর্তে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারছে না ভয়ে। এ তো সবে শুরু। ভোট যত এগিয়ে আসবে তৃণমূল নিজেদের মধ্যে লড়াই করে শেষ হবে।‘