কালচিনি ও জয়গাঁ: কোথাও পুজো দিলেন, আবার কোথাও খেলেন ফুচকা। প্রচারের মাঝে চা বাগানে ঢুকে শ্রমিকদের সঙ্গে কথাও বললেন। সর্বক্ষণের সঙ্গী কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামার বাইকে চেপে অনেকটা রাস্তা পরিক্রমাও করলেন। আর এসবের মধ্যে দিয়ে বুধবার কালচিনি ব্লকের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ভোটের প্রচারে ছুটে বেড়ালেন বিজেপির আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনে প্রার্থী তথা মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। প্রচার করতে করতে দুপুর দেড়টা নাগাদ তিনি পৌঁছান পুরোনো হাসিমারা চৌপথি এলাকায়। সেখানে এক কোণে ঠেলায় ফুচকা বিক্রি করছিলেন সুরেশ শা। তাঁর কাছে ভোট চাইতে গিয়ে মনোজের চোখ পড়ল ঠ্যালাগাড়িতে সাজানো ফুচকার ওপর। কিছুটা উৎসাহিত হয়ে ফুচকা বিক্রেতাকে বলেন ফুচকা দিতে। চোখের সামনে ভোট প্রার্থীকে দেখে তখন আপ্লুত ফুচকা বিক্রেতা। বড়জোর ৩-৪টি ফুচকা খেয়ে আবার প্রচার শুরু করলেন মনোজ।
তার আগে এদিন সকালে মনোজ, বিশাল সহ বিজেপির কালচিনির প্রায় সব নেতা পৌঁছে গিয়েছিলেন জয়গাঁয়। দলসিংপাড়া থেকে বাইক মিছিল করে তাঁকে জয়গাঁ নিয়ে যাওয়া হয়। জয়গাঁ থানার সামনে কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রসাদ বিতরণ করেন মনোজ। এরপর দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে এনএস রোড, এমজি রোড সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালান। ফেরার পথে এশিয়ান হাইওয়ের হাসিমারার কাছে রাস্তার পাশে বিচ চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের মাঝে চলে যান মনোজ। এক শ্রমিকের কাছ থেকে চা পাতা তোলার ঝুলি নিয়ে নিজেও কিছুক্ষণ চা পাতা তুললেন মনোজ। সেই ফাঁকে আবার শ্রমিকদের সঙ্গে নিজের পরিচয়পর্ব সেরে নেন মনোজ। শ্রমিকদের সমস্যা জানতে চাইলে অনেকেই তাঁকে শৌচাগারের সমস্যার কথা বলেন। মনোজ তাঁদের সমস্যা দূর করার আশ্বাস দেন।
অন্যদিকে, পুরোনো হাসিমারায় বাদ্যযন্ত্র নিয়ে প্রচার করতে দেখা যায় মনোজকে। দেওয়াল লিখন করেও সেখান প্রচার চালান তিনি। সেখান থেকে সাতালি চা বাগান হয়ে হ্যামিল্টনগঞ্জ পৌঁছান। পথে স্বাধীনতা সংগ্রামী বীর বিরসা মুন্ডা, দুর্গা মল্ল, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর, আদিবাসী বরেণ্য ব্যক্তি কার্তিক ওরাওঁয়ের মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মনোজ। হ্যামিল্টনগঞ্জে দলীয় কার্যালয়ের দ্বারোদ্ঘাটন করে কালচিনির বিভিন্ন চা বাগান এলাকায় তিনি এদিন প্রচার চালান। মনোজ জানিয়েছেন যেখানেই যাচ্ছি প্রচারে ভালো সাড়া পাচ্ছি।