চোপড়াঃ বিধায়কের বিতর্কিত বক্তব্যে বিতর্ক ছড়াল চোপড়ায়। ভোট শেষে কেন্দ্রীয়বাহিনী চলে যাওয়ার পর তখন কোনও কিছু হলে অভিযোগ করতে পারবেন না। বুধবার মাঝিয়ালির চুয়াগাড়ি এলাকায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনি প্রচার সভা থেকে বিরোধীদের এই ভাষাতেই হুঁশিয়ারি দিলেন চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান। এদিন তৃণমূলের নির্বাচনি প্রচার সভায় অংশ নেন দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। স্থানীয় নেতৃত্বদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। চুয়াগাড়ি এলাকাতেই সম্প্রতি বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্টকে কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি গো ব্যাক স্লোগান তোলা হয়। এদিন ভরা মঞ্চে বিধায়কের এহেন হুঁশিয়ারি ঘিরে বিরোধী শিবিরে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে তৃনমূলের চোখরাঙানি কেও ভয় পায়না বলে বিরোধী নেতৃত্ব মন্তব্য করতেও ছাড়েননি।
কংগ্রেস নেতা অশোক রায় বলেন, ‘তৃণমূল এলাকায় প্রত্যেকবার ভোটের শেষে বিরোধীদের হেনস্তা করে, এবারও একই হুমকি শুরু করেছে। কিন্তু এবার মানুষ তাদের হুমকিতে কর্ণপাত করবে না’। স্থানীয় বিজেপি নেতা বরুণ সিংহ বলেন, ‘এলাকায় একনায়কতন্ত্র কায়েম করার চেষ্টা চলছে। জনগণ যাকে ইচ্ছা ভোট দেবেন। বিধায়ক এরকম মন্তব্য করতে পারেন না’। বিজেপি নেতা অসীম বর্মন বলেন, ‘বিধায়কের হুঁশিয়ারির ব্যাপারে দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হচ্ছে। তাছাড়া অনেক আগে থেকেই এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কর্মী সমর্থকদের ভয়-ভীতি দেখানোর চেষ্টা করছে’।
চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান এদিন বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী ২৬ তারিখ পর্যন্ত এলাকায় থাকবে তারপর থেকে আমাদের সঙ্গেই থাকতে হবে’। অন্যদিকে এদিন তিনি বুথে ভিত্তিক নব্বই শতাংশ ভোটের নিদান দেন।