উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ শুরু হয়ে গেল দিল্লি দখলের লড়াই। প্রথম দফায় রাজ্যে ভোট হল আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায়। দুই একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া একপ্রকার শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হল রাজ্যের প্রথম দফার নির্বাচন। মনোরম আবহাওয়ায় গণতন্ত্রের এই উৎসবে গা ভাসালেন ভোটাররা। দেদারে ভোট পড়ল প্রতিটি বুথেই। স্বতস্ফুর্তভাবে ভোট প্রদান কীসের ইঙ্গিত করছে? এই বিষয়টি নিয়ে চলছে চুলচেড়া বিশ্লেষণ।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দফা নির্বাচনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে গড়ে ৭৭ শতাংশের বেশি। যদিও ভোট শতাংশের চূড়ান্ত হিসাব এখনও জানায়নি কমিশন। অনুমান করা হচ্ছে ভোট প্রদানের হার ৮০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে অনায়াসে। এদিন বেলা ১১টার মধ্যেই ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে যায় তিনটি আসনে। দুপুর ১টার মধ্যে ৫০ শতাংশ ভোট পড়ে যায় ইভিএমে।
বাম আমলেও অধিকাংশ আসনে ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ত। বিরোধীদের বরাবরই অভিযোগ করত বুথ জ্যাম, বুথ দখল, রিগিং ও অবাধ ছাপ্পার। গ্রাম, গঞ্জে বহুমানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারতেন না। বাংলায় তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনে ভোটের গড় হার ছিল ৮৫ শতাংশের কাছাকাছি। এক্ষেত্রেও ছাপ্পা, রিগিং ও সন্ত্রাসের অভিযোগ করত বিরোধীরা।
এবার শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বুথ দখল ইত্যাদি রুখতে বিপুল সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি বুথেই ছিল আধা সামরিক বাহিনীর নজরদারী। ফলে ভোট গ্রহন কেন্দ্রে বুথ জ্যাম বা ছাপ্পার অভিযোগ শোনা যায়নি। তবে এত বেশি পরিমান ভোট পড়ে যাওয়ায় হিসেব করতে বসে গিয়েছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, সাধারণত বেশি হারে ভোট পড়লেই তা শাসক বিরোধী ভোট বলে অনেক সময়ে মনে করা হয়। অর্থাৎ আন্দাজ করা হয় যে মানুষ পরিবর্তন চেয়ে ভোট দিচ্ছেন। তবে বাংলায় প্রথম দফায় যে ৮০ শতাংশ হারে ভোট পড়েছে তা সেভাবে বিশ্লেষণ করা ঠিক হবে না। কারণ, এই রাজ্যে এর আগে ২০১৬ এবং ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৮০ শতাংশের ওপরে। সেক্ষেত্রে ফলাফল উল্টোটাই হয়েছে। অর্থাৎ শাসকদলের পক্ষেই।