গঙ্গারামপুরঃ বুধ সন্ধ্যায় শেষ হল প্রথম দফার ভোটের প্রচার। ভোট আগামী ১৯ এপ্রিল। বঙ্গে ওই দিন ভোট হবে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলায়। অথচ গত কয়েকদিনে গঙ্গারামপুরের অধিকাংশ জায়গায় প্রচার বা পথসভায় বাম শরিকদের দেখা মিললেও কংগ্রেস কর্মীদের দেখা মিলছে না। এনিয়ে রাজনৈতিকমহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট হয়েছিল। ওই বছর গঙ্গারামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস টিকিট দিয়েছিল গৌতম দাসকে। উনি জয়ী হন। পরে গৌতম দাস যোগ দেন তৃণমূলে। পরবর্তী বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস জোট হয়। ওই বছর গঙ্গারামপুর কেন্দ্র নন্দলাল হাজরাকে দাঁড় করায় আলিমুদ্দিন। তবে প্রতি লোকসভা ভোটে বালুরঘাট কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী দাঁড় করালেও এই প্রথম সে রীতিতে ছেদ পড়ল। বাম প্রার্থীকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস। জোট প্রার্থীর হয়ে জেলা জুড়ে বাম, কংগ্রেস এবং আরএসপি যৌথভাবে প্রচার করলেও গঙ্গারামপুরের অধিকাংশ জায়গায় কংগ্রেস কর্মীদের দেখা মিলছে না। এই নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।
সিপিএম জেলা সম্পাদক নন্দলাল হাজরা বলেন, ‘সব জায়গায় কংগ্রেসের সংগঠন শক্তিশালী নয়। যেখানে কংগ্রেস শক্তিশালী, সেখানে ঝান্ডা নিয়ে আমাদের সঙ্গে প্রচারে নামছে। আমাদের লক্ষ্য সাম্প্রদায়িক বিজেপি ও তার দোসর তৃণমূলকে পরাস্ত করা।’
জেলা কংগ্রেস সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘জেলায় আমরা বহু যৌথ মিটিং করেছি। গঙ্গারামপুরের কর্মীদের প্রচারে নামার বার্তা দেওয়া হয়েছে। যতটুকু পারছে তাঁরা করছে। বামেরা যেখানে ডাকছে সেখানেই যাচ্ছি।’