রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জের রাস্তা দিয়ে এগিয়ে চলেছে মোদির গাড়ি। রাস্তার দু’ধারে তখন হাজারও মানুষ। চারিদিকে মোদি মোদি রব। রায়গঞ্জের কলেজপাড়া এলাকায় বড় রাস্তার উত্তর দিকে তৃণমূল প্রভাবিত একটি ক্লাবের দোতলা থেকে মোদির গাড়ির দিকে ফুল ছুড়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই ক্লাবের সর্বত্রজুড়ে তৃণমূলের পতাকা, ফ্লেক্স, ব্যানার যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান।
এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধু তাই নয়, ওই ভিডিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তৃণমূল কার্যালয় থেকে এই ফুল ছুঁড়ে দেওয়ার দৃশ্যও রয়েছে। ভিডিও’র সঙ্গে লেখা ‘রায়গঞ্জে সর্বত্রই শুধু বিজেপি!’ যদিও ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ।
এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই জেলার রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জেলার রাজনৈতিক থেকে অরাজনৈতিক সকলেরই আশঙ্কা, মোদি ম্যাজিকের জেরে এবার তাহলে তৃণমূলকর্মীদের ভোটও সরাসরি পদ্মেই যেতে চলেছে।
যদিও এই ঘটনায় তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর কোনও মন্তব্য পাওয়া যায় নি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘রায়গঞ্জে দলের সহ সভাপতি আছেন। তাঁর কাছ থেকে শুনে নিন।’ তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অরিন্দম সরকার বলেন, ‘ভিডিওর সত্যতা কতটা সেটা আমার জানা নেই। তবে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে যে কেউ স্বাগত জানাতে পারেন। দেশের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানানোতে কোনও অসুবিধা নেই। তার মানে এটা নয় যে তাঁরা ওঁনাকে বা বিজেপিকে সমর্থন করেন।’
বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, ‘মোদিজি রায়গঞ্জের তথা পুরো ভারতবর্ষের আবেগ। সেই আবেগে সবকিছু ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল যে নোংরা রাজনীতি এতদিন করে এসেছে, যেভাবে আমাদের দলের পোস্টার ছিঁড়েছে, যেভাবে ভয় দেখিয়ে সবাইকে তাদের দল করতে বাধ্য করেছে, সেইসব ভয়কে জয় করে মোদিজিকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।’
জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি যাহা তৃণমূল, তাহাই বিজেপি। দুই দল আসলে একটিই দল, যার নাম বিজেমূল। তৃণমূল প্রার্থী আগে বিজেপির বিধায়ক ছিলেন। আবার বিজেপি প্রার্থী আগে তৃণমূলে ছিলেন। যেখানে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী গ্রেপ্তার হয়েছেন, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হননি। এটা বিজেপি ও তৃণমূলের সেটিং ছাড়া কিছুই নয়।’