কলকাতা: অবশেষে রণেভঙ্গ নওশাদ সিদ্দিকীর! লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার আসন থেকে লড়ছেন না ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ। তাঁকে পাশে নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফুরফুরা শরিফে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন আইএসএফ নেতা সামসুর আলি মল্লিক। সেখানে দলের তরফে পাঁচটি লোকসভা আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। ডায়মন্ড হারবারে আইএসএফ প্রার্থী করা হয়েছে মজনু লস্করকে। আর এতেই চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
কারণ ডায়মন্ড হারবার আসনে নওশাদ প্রার্থী হবেন, গত কয়েক মাস ধরে এই জল্পনা চলছিল। যেহেতু তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওই কেন্দ্রের সাংসদ, তাই ওখানে নওশাদ প্রার্থী হলে যথেষ্ট লড়াই হবে, এমন মনে করা হচ্ছিল। আইএসএফ বিধায়কও জানিয়েছিলেন, দল তাঁকে মনোনয়ন দিলে তিনি ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হবেন।
কিন্তু এদিন কিছুটা সকলকে অবাক করে আইএসএফ নেতা সামসুর আলি মল্লিক জানান, নওশাদ শুধু ডায়মন্ড হারবার নয়, রাজ্যের কোনও আসনেই প্রার্থী হচ্ছেন না। কারণ নওশাদ দলের স্টার প্রচারক। তাই তাঁকে কোনও নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বেঁধে রাখতে চায় না আইএসএফ। বিষয়টি নিয়ে নওশাদকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
তমলুক আসনের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চেয়ে নিজেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তার পর নিজেই সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়াকে নওশাদ সিদ্দিকি বলে। এজন্যই আমরা বলি, পান্তা ভাত খেয়ে বিরিয়ানির ঢেঁকুর তোলা উচিত নয়।’
অন্যদিকে, যাদবপুরে আইএসএফের প্রার্থী হয়েছেন আইনজীবী নুর আলম খান, বালুরঘাটে মোজাম্মেল হক, উলুবেড়িয়ায় মফিকুল ইসলাম। ব্যারাকপুরে প্রার্থী হয়েছেন আইনজীবী জামির হোসেন। এনিয়ে ১৩টি লোকসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল আইএসএফ।