করণদিঘিঃ শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে গেল অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। এক সপ্তাহ বাদে আগামী ২৬ এপ্রিল রায়গঞ্জে ভোট। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, মানসিক চাপ বাড়ছে পাল দম্পতির (বিধায়ক গৌতম পাল, স্ত্রী পম্পা পাল)। দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, প্রার্থীকে লিড দিতে না পারলে দলের কর্তাদের পদ খোয়াতে হবে। ফলে, পাল দম্পতি রীতিমতো মানসিক চাপে রয়েছেন। এমনকী দলীয় নেতৃত্বের কপালেও চিন্তার ভাঁজ। করণদিঘিতে তৃণমূলের কাঁটা জোট প্রার্থী ভিক্টর। আসন্ন লোকসভা ভোটে মার্জিন বাড়াতে করণদিঘি চষে বেড়াচ্ছেন ভিক্টর।
শেষ লোকসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস জোট না হওয়ায় ভোটের বাক্সে তেমন প্রভাব পড়েনি। কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ১৩,৭০৩ ভোট। সিপিএম ৩০, ৪৮৮ ভোট। বিজেপির ঘরে গিয়েছিল ৮২,০০৯ ভোট। তৃণমূলের ৬৬,০৪৫ ভোট। ২১ এ-র বিধানসভা ভোটেও পদ্মশিবিরের ভোট মোটামুটি অক্ষুন্নই ছিল। বাম ও কংগ্রেসের ভোট তৃণমূলের বাক্সে চলে যাওয়ায় দলের জয়ের ব্যবধান বেড়েছিল বলে মত বিশ্লেষকদের। এবারের লোকসভা ভোটে বাম ও কংগ্রেস জোট গঠন করায় অংক গুলিয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
বিধায়ক গৌতম পাল বলছেন, ‘দলীয় নেতাদের বলা হয়েছে প্রত্যেক ভোটারের বাড়ি গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্পগুলির সাফল্য তুলে ধরতে হবে। সেই সঙ্গে জানাতে হবে রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণের কথা। বলতে হবে কেন্দ্রের ১০০দিনের প্রকল্পের টাকা রাজ্য সরকারকে মেটাতে হয়েছে।’
তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুর রহিম বকসি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্পের সার্বিক উন্নয়ন ও বিধায়ক গৌতম পালের উন্নয়নের স্রোতে বাকিরা খড়কুটোর মতো ভেসে যাবেন।
করণদিঘির বাসিন্দা তথা প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আবুবক্কর বলেন, ‘ভিক্টর প্রার্থী হওয়ায় বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে ময়দানে নেমেছে। জোটের ভোট তৃণমূলের ঝুলি থেকে বেড়িয়ে আসবে।