কালিয়াগঞ্জঃ পাড়ার কিংবা জামার কলার উঁচিয়ে থাকা দাদা নয়। এই ‘দাদা’ শব্দের মধ্যে কালিয়াগঞ্জের মানুষের হৃদয়ে কোথাও যেন একটা আবেগ লুকিয়ে আছে। কংগ্রেস জমানায় জেলার কংগ্রেস নেতাদের কাছে প্রিয়দা ছিলেন নয়নের মণি। আমাদের ‘প্রিয়দা’। একসময় কালিয়াগঞ্জে রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক, আবালবৃদ্ধবনিতার মুখে একটি নাম ঠোঁটের আগায় থাকত ‘প্রিয়দা’। সে কলেজের ছাত্রই হোক অথবা প্রিয়রঞ্জনের চেয়ে বয়সে বড়, সবার মুখে প্রিয়দাই ছিল উত্তর দিনাজপুর জেলার একমাত্র ভরসা৷ কৌশলে সেই ‘দাদা’ শব্দটিকেই যেন হাতিয়ার করে প্রিয় মিথকে দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে কাজে লাগাচ্ছেন কালিয়াগঞ্জের বিজেপির ডাকাবুকো নেতা তথা রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের পদ্ম প্রার্থী কার্তিক পাল। ভোট প্রচারের মাধ্যমে জেলা জুড়ে কার্তিকদা মন মজানোর চেষ্টা করছেন ভোটারদের। বিশেষ করে ইয়ং জেনারেশনের কাছে পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই কার্তিক যেন এখন পাড়ার দাদায় পরিণত। কালিয়াগঞ্জের দেওয়াল লিখনেও তার ছোঁয়া।
জেলায় প্রিয় আবেগের নিভন্ত সলতেয় ফের আগুন জ্বালাতে তৃণমূল, কংগ্রেসের পাশাপাশি প্রচারে ঝড় তুলছেন ভূমিপুত্র গৈরিক কার্তিক পালও। জনগনই তাঁর একমাত্র ভরসা। আবেগপূর্ণ বক্তব্যে প্রিয়রঞ্জনের একদা ভাবশিষ্য কার্তিক জানান, ‘প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী একটি আবেগের নাম। তাঁকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক আঙিনায় এনে বিচার করা ঠিক হবে না৷ আমি তাঁর নখেরও যোগ্য নই৷ তবে, প্রিয়দার অপূর্ণ ইচ্ছে বাস্তবায়িত করতে এবং বাংলায় বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার গঠন করতে আমি জেলার মানুষের কাছে ভোট ভিক্ষা চাইছি।’ আপনিও তো কয়েকদিনের মধ্যেই জেলায় ‘দাদা’ হিসাবে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন। মুচকি হেসে কার্তিক জানান, ‘ভালোবেসে কেউ দাদা বলে ডাকলে তো আমি আর মুখ ফিরিয়ে নিতে পারি না৷ তবে, প্রিয়দার অবর্তমানে জেলার উন্নয়নে যা হয়নি তা আমি করে দেখাব।’
বিষয়টি জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তের নজরে আনতেই তিনি বলেন, ‘বিজেপি তাঁর প্রার্থীর নামের পাশে কী লিখবে সেটা তাদের ব্যাপার৷ আমাদের কাছে প্রিয়দা বটবৃক্ষের মতো। তাঁর আদর্শ মেনে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী আলি ইমরান রমজকে আমরা জিতিয়ে আনব।’