রায়গঞ্জ: বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব এখনও বাগে আনতে পারেনি সংঘ নেতৃত্ব। সোমবার বিকেলে পানিশালায় গোপন বৈঠকে সাসপেনশন প্রত্যাহার ও নতুন নির্বাচনি কমিটি গঠনের দাবিতে সোচ্চার হন দলের বিক্ষুব্ধরা।
বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পাল কার্যকর্তাদের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠকের পরেও তাঁদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে পারেননি। সমস্ত ক্ষোভ ভুলে প্রচারে অংশ নেওয়ার জন্য কার্তিকবাবু সকলের কাছে আবেদন জানান। এদিন রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের বিভিন্ন বিধানসভা এলাকা থেকে প্রায় শতাধিক কার্যকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের তরফে বীণা ঝা বলেন, ‘কার্তিকচন্দ্র পাল আমাদের ঘরের ছেলে। কিন্তু তাঁকে নিয়ে চক্রান্ত চলছে। আমরা তা হতে দেব না। এই কমিটি থাকলে অধিকাংশ কার্যকর্তা নিষ্ক্রিয় থাকবে। তাই আমাদের প্রধান শর্ত, বিশ্বজিৎ লাহিড়ী সহ সমস্ত কার্যকর্তাকে সসম্মানে ফিরিয়ে এনে মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্ব দিতে হবে। তবেই প্রচার হবে।’
জানা গিয়েছে, কার্তিকবাবু ইতিমধ্যে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে তাঁদের দাবি জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে সংঘের প্রচারকেরা সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছেন। আজ আবার ইটাহারে বিক্ষোভকারী গোষ্ঠীর দুই নেতা নিমাই সিং এবং শ্যামল চৌধুরীর সঙ্গে সংঘের প্রচারকেরা বসবেন।
এদিকে, ভোটের মুখে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিলে দল বিপাকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, ‘২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ৯ দিন আগে আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। এক্ষেত্রে কেন নয়। রায়গঞ্জ ব্লকের একাধিক অঞ্চলের কার্যকর্তাদের ইচ্ছে করে বসিয়ে রাখা হয়েছে, যাতে কার্তিক পাল পরাজিত হয়। কোনও বুথ কমিটি নেই, সংগঠন নেই। শুধু আবেগের উপর দল চলছে।’
অন্যদিকে, বিক্ষুব্ধ ও ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর চাপে রীতিমতো বিপাকে বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে কার্তিকবাবু রাজ্য সভাপতি, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও জেলা পর্যবেক্ষককে বিক্ষুদ্ধদের বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে বিজেপির শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির প্রমুখ প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চেষ্টা করা সত্ত্বেও যোগাযোগ করা যায়নি।