উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল জিতলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন অধীর চৌধুরী। বহরমপুর কেন্দ্রে ৫ বারের সাংসদ অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী করেছে ইউসুফ পাঠানকে। আবার বিজেপি প্রার্থী করেছে এলাকার পরিচিত চিকিৎসক নির্মলচন্দ্র সাহাকে। দুই দলেরই লক্ষ্য, অধীর চৌধুরীকে পরাজিত করা। কিন্তু জয়ের বিষয়ে ১০০ শতাংশ আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস প্রার্থী অধীর।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুরে অধীর চৌধুরীকে পরাস্ত করতে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু তখনও তৃণমূল কংগ্রেসের মুর্শিদাবাদের পর্যবেক্ষক। কিন্তু শেষে দেখা গিয়েছিল, ৮১ হাজারের বেশি ব্যবধানে বহরমপুর থেকে জয়ী হন অধীর। এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে। দলীয় প্রার্থী নির্মলচন্দ্র সাহাকে জেতাতে জোরকদমে নেমে পড়েছেন তিনি।
বর্তমানে বহরমপুরের মাটিতে অধীর চৌধুরী বুক চিতিয়ে প্রচার করছেন। ভিড় উপচে পড়ছে। দুই প্রধান প্রতিপক্ষ প্রার্থীর বিষয়ে অধীর চৌধুরী কোনও শব্দই খরচ করছেন না নির্বাচনি প্রচারে গিয়ে। তবে আজ, সোমবার অধীর চৌধুরী বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। বহরমপুরের একটানা পাঁচবারের এই সাংসদ বলেন, ‘আমার দুটো স্পষ্ট কথা আছে। এক, বহরমপুরে তৃণমূল হেরে গেলে সেই হার মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় নিজের পরাজয় বলে মেনে নেবেন কি? হ্যাঁ বা না’তে বলুন। আর দুই, বহরমপুরে যদি তৃণমূল জিতে যায়, তাহলে আমি রাজনীতি থেকেই অবসর নিয়ে নেব।’ এই মন্তব্য এখন গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। তাহলে কি অধীর নিশ্চিত যে তিনিই জিতবেন?
এদিন অধীর আরও বলেন, ‘গত লোকসভা নির্বাচনে শুভেন্দুও বলেছিলেন, আমাকে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। আমি তখন বলেছিলেন, তুমি রাজনীতি ছাড়বে আবার কি! তুমি তো বাচ্চা ছেলে। হেরে গেলে আমিই রাজনীতি ছেড়ে দেব। এখন আমি তো খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ করছি। লুকিয়ে চুরিয়ে বলছি না। মিডিয়ায় সামনে খোলাখুলি বলছি। দম থাকে তৃণমূল এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুক।’