হরিশ্চন্দ্রপুরঃ (Loksabha Election 2024) উত্তর মালদায় (North Malda) এবার তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন পুলিশকর্তা প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় (Prasun Banerjee)। শুক্রবার এই তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে ভোট প্রচারে নেমেছিলেন রাজ্যের বস্ত্র ও সংখ্যালঘু দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী তজমুল হোসেন (Tajmul Hossain)। এদিন প্রচারে গিয়ে মন্ত্রী তজমুল রাজ্যে ঘটে যাওয়া সন্দেশখালির ঘটনাকে সামান্য এবং সাজানো ঘটনা বলে ব্যাখ্যা করলেন। সন্দেশখালি সামান্য ঘটনা হলেও মণিপুরের ঘটনাকে ন্যক্কারজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি। মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর তীব্র সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা।
উত্তর মালদা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে দেওয়াল লিখন এবং প্রচার করেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন। বিজেপির দেওয়াল লিখনের পাশেই দেওয়াল লেখা শুরু করে তৃণমূল। একদিকে লেখা রয়েছে “অবকি বার ৪০০ পার”। পাশেই তৃণমূলের লেখা “৪২ এ ৪২”। সেখান থেকেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন প্রতিমন্ত্রী। বিরোধীদের বলা বহিরাগত প্রার্থী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূলে প্রার্থী একজনই, তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট প্রচারে সন্দেশখালি ইস্যুকে সামনে রাখছে বিজেপি। সেই প্রসঙ্গে তাজমুলের দাবি সন্দেশখালি সামান্য এবং সাজানো ঘটনা। কিন্তু মণিপুরের যে ঘটনা তা ন্যক্কারজনক।
মন্ত্রী তজমুল বলেন, “মণিপুরের মত লজ্জাজনক ঘটনা বিজেপির আমলেই হওয়া সম্ভব। আর সন্দেশখালি তো সামান্য ঘটনা এবং এটা সাজানো। রাজ্যের শাসক দলকে বদনাম করতেই এই চক্রান্ত করা হয়েছে। আমাদের ৪২ টা আসনের প্রার্থী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে বহিরাগত কেউ নয়।”
মন্ত্রীর এই বক্তব্য সামনে আসতেই বিতর্কের ঝড়। বিজেপির উত্তর মালদার সাংগঠনিক সম্পাদক রুপেস আগরওয়াল বলেন, “সন্দেশখালিতে নির্যাতিতা মহিলারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে। আর মহিলাদের ইজ্জত লুঠ হওয়াকে ছোট ঘটনা বলছেন রাজ্যের দায়িত্ব প্রাপ্ত একজন মন্ত্রী। তার আরও অভিযোগ, প্রতিমন্ত্রী নিজের বিধানসভার জন্য কোনও কাজ করেন নি। মানুষ ভোট বাক্সে তৃণমূলকে সাফ করে দেবে।”
এ প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সম্পাদক জামিল ফিরদৌস জানান, সন্দেশখালি এবং মণিপুর এই দুই ঘটনায় মুখ পুড়িয়েছে দেশের। একটি তৃণমূল শাসিত রাজ্য এবং অন্যটি বিজেপি শাসিত। সঙ্গে সিপিএম নেতার দাবি, হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকাতেও সন্দেশখালির মতো পরিস্থিতি। রাজ্যের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্য হতাশাজনক।