শিলিগুড়ি: তৃণমূল (Trinamool) নেতার ফতোয়া। আর তাতেই বন্ধ হয়ে গেল এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ডিস্ট্রিবিউটারদের কাছে নিয়ে যাওয়ার কাজ। সোমবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জলপাইগুড়ির রানিনগরে এলপিজি বটলিং প্ল্যান্টে (LPG bottling plant) দুপুর থেকে ট্রাকে সিলিন্ডার তোলার কাজ শুরু হলে সেটা বন্ধ করে দেন ট্রাকচালকরা।
ট্রাকচালক ইউনিয়নের বক্তব্য, জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) তৃণমূল ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের অ্যাডভাইজার কৃষ্ণ দাস ওই নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও হঠাৎ করে এই নির্দেশের পেছনে কৃষ্ণের যুক্তি, ‘ট্রাকচালকদের সঙ্গে মালিকদের বেতন সংক্রান্ত চুক্তির সময়সীমা দু’মাস পেরিয়ে গেলেও মালিকরা কিছুতেই নতুন চুক্তির ব্যাপারে আলোচনায় বসতে চাইছেন না।’ যদিও কৃষ্ণের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন প্ল্যান্টের ট্রান্সপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্বে থাকা নবীন চৌধুরী। তাঁর দাবি, ‘ইতিমধ্যেই ওই চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ট্রাকচালকরাও সেটা জানেন। এই নিয়ে চারবার প্ল্যান্টের কাজ বন্ধ করা হল।’ বিষয়টি নিয়ে এদিন জলপাইগুড়ি জেলা শাসকেরও দ্বারস্থ হয়েছে নর্থবেঙ্গল অ্যান্ড সিকিম এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর্স অ্যাসোসিয়েশন। না জানিয়েই গ্যাস সিলিন্ডার ওই ট্রাকচালকরা না নেওয়ায় বড় ধরনের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কৌশিক সরকার। তাঁর বক্তব্য, ‘প্রতিদিন প্রায় ৪০,০০০ গ্যাস সিলিন্ডার এখান থেকে গোটা উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি সিকিম, ভুটানে যায়। হঠাৎ করে গ্যাস সিলিন্ডার না নেওয়ায় এই গোটা এলাকাজুড়ে গ্যাস সিলিন্ডারের ক্রাইসিস হতে পারে।’
প্ল্যান্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে গ্যাস সিলিন্ডার তোলার কোনও কাজ হয়নি। দুপুর থেকে পূর্ব সিদ্ধান্ত মতো গ্যাস তোলার কাজ শুরু হয়। সেসময়ই ট্রাকে সিলিন্ডার তুলতে বাধা দেন চালকরা। অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে, সেবিষয়ে ওই ট্রাকচালকরা পরিষ্কার করে কিছু বলেননি। এদিকে, এই সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়ার কাজ কতদিন বন্ধ থাকবে, সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।