মালদা: বাংলা, ইংরেজির পর এবার ইতিহাস। আবারও ফাঁস মাধ্যমিকের (Madhyamik Exam 2024) প্রশ্নপত্র! এবার খবরের শিরোনামে মালদার (Malda)ইংরেজবাজারের রায়গ্রাম হাইস্কুল। ইতিমধ্যে তিন পড়ুয়ার পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায়ে শাস্তির মুখে পড়ল মালদা জেলার ২২ জন পরীক্ষার্থী।
সোমবার ছিল ইতিহাস পরীক্ষা। এদিন ইংরেজবাজারের রায়গ্রাম হাইস্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন সন্দেহ হতেই তল্লাশি শুরু করেন পরীক্ষকরা। তল্লাশিতে দেখা যায়, জানালার পাশে সুতো দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে তিনটি মোবাইল। এরমধ্যে একটি অ্যান্ড্রয়েড এবং দুটি কিপ্যাড ফোন। সঙ্গে সঙ্গেই মোবাইলগুলি কার সেই খোঁজ শুরু হয়। এরপরই ধরা পড়ে তিন পরীক্ষার্থী। তারা শোভানগর হাইস্কুলের পড়ুয়া বলে জানা গিয়েছে। এনিয়ে রায়গ্রাম হাইস্কুলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে এবিটিএ-র জেলা সম্পাদক অরুণ প্রসাদ বলেন, ‘বিষয়টি আমিও শুনেছি। আমাদের সন্দেহ আগের দিনই স্কুলে ঢুকে মোবাইলগুলি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।’
এর আগে মালদায় বাংলা পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। পরে আবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে মানিকচকের (Manikchak) এনায়েতপুর হাইস্কুলে। এই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোট সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং কমিটির কর্তারা। ঘটনায় সাতজন পরীক্ষার্থীকে আটক করে মানিকচক থানার পুলিশ। একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই সাত ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা বাতিল করে দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এবার মাধ্যমিকের তৃতীয়দিনেও প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠল মালদায়। কিন্তু, প্রশ্নপত্র ফাঁসে বারবার মালদার নাম কেন জড়িয়ে পড়ছে? সেই প্রশ্নের উত্তরে ওই শিক্ষক নেতার সাফ জবাব, ‘কিছু পড়ুয়া বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আসলে এতদিন কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা হয়নি। তবে সব স্কুলের শিক্ষকরাই প্রশ্নফাঁস রুখতে সবরকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।