নয়াদিল্লি: ‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন’ বিতর্কে সংবাদমাধ্যমগুলির বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলায় কোনও দাবিদাওয়া নেই কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টকে তেমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদের আইনজীবী সমুদ্র সারাঙ্গি। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সচিন দত্তকে তিনি জানান, সংবাদমাধ্যমগুলির ওপর করা মানহানির মামলায় কোনও ক্ষতিপূরণ চান না মহুয়া। তবে তা জারি থাকবে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ও আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রির বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলায়।
প্রসঙ্গত, লোকসভায় ‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন’ বিতর্কে নাম জড়িয়েছে মহুয়া মৈত্রের। এই বিতর্ক শুরু হওয়ার পর বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর দাবি ছিল, কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ করে তাঁকে আগে থেকেই দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে। যে কারণে সম্মানহানি হচ্ছে তাঁর। নিশিকান্ত দুবে এবং জয় অনন্ত দেহাদ্রির পাশাপাশি সেইসব সংবাদমাধ্যমগুলির বিরুদ্ধেও মানহানির মামলা করেন মহুয়া। সেই মামলাতেই সংবাদমাধ্যমগুলির থেকে তাঁর কোনও দাবিদাওয়া নেই বলে মঙ্গলবার আদালতে জানান মহুয়ার আইনজীবী। তবে এক সংবাদমাধ্যমের আইনজীবীর বক্তব্য, যেহেতু মহুয়া সংবাদমাধ্যমগুলির বিরুদ্ধে মানহানির জন্য কোনও ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছেন না, তাই মামলাটি সংশোধন করা উচিত। জানা গিয়েছ, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৫ ডিসেম্বর। এদিকে নিশিকান্তের আইনজীবী অভিমন্যু ভান্ডারি আদালতে জানান, মহুয়া একটি সাক্ষাৎকারে তাঁর সংসদীয় লগইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানিকে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তাই এই মানহানির মামলার কোনও ভিত্তি নেই।