নিউজ ব্যুরো: কংগ্রেস, শিবসেনা, তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি সহ বিরোধী শিবিরের বিভিন্ন নেতা-নেত্রীর ফোন হ্যাকের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ ঘিরে এখন তোলপাড় দেশের রাজনৈতিক মহল। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে মঙ্গলবার মোদি সরকারকে তোপ দাগেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘আদানি নামক তোতা পাখির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে মোদির প্রাণ।’
রাহুল বলেন, ‘আগে ভাবতাম ১ নম্বরে আছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, ২ নম্বর আদানি এবং ৩ নম্বরে অমিত শা। কিন্তু আমার ভুল হয়েছিল। ১ নম্বরে আছেন আদানি, ২ নম্বরে মোদি এবং ৩ নম্বর শা। আমরা এই রাজনীতি বুঝতে পেরেছি। এখন আদানিজি পালাতে পারবেন না। দেশে বিভ্রান্তির রাজনীতি চলছে।’
রাহুলের সংযোজন, ‘অনেকেই অ্যাপলের সতর্কবার্তা পেয়েছেন। কংগ্রেসের কেসি বেণুগোপাল জি, সুপ্রিয়া, পবন খেরাও এটা পেয়েছেন। এসব করে বিজেপি নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে।’ এরপরই কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘আপনি যত খুশি ফোন ট্যাপ করতে পারেন। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আপনি যদি আমার ফোন নিতে চান, আমি আপনাকে দিয়ে দেব।’ অর্থাৎ ফোনে নজরদারি চালালেও যে তাঁরা ভয় পান না, সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন রাহুল।
প্রসঙ্গত, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র, আম আদমি পার্টির রাঘব চাড্ডা, কংগ্রেসের শশী থারুর এবং তাঁর দলের মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান পবন খেরার ফোন হ্যাকের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের দাবি, তাঁরা অ্যাপলের কাছ থেকে সতর্কবার্তা পেয়েছেন। সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও একই রকম বার্তা পেয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে এক্সে পোস্ট করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তারপরই শোরগোল পড়ে যায়। যা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে একযোগে তোপ দেগেছেন বিরোধীরা। তাঁদের অনেকেই অ্যাপলের সতর্কবার্তার স্ক্রিনশট তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন।